ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয় দিয়ে তাসকিনের রেকর্ডময় দিন রাঙাল রাজশাহী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৭ বার

তাসকিন আহমেদ আজ ক্যারিয়ারের সেরা, বিপিএলের সেরা, বাংলাদেশের হয়ে সেরা ও টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের তৃতীয় সেরা বোলিং করেছেন। তারপরও অন্যদের বোলিং ব্যর্থতায় দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ১৭৪ রানের লড়াকু পুঁজি গড়েছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে এনামুল হক বিজয় ও রায়ান বার্লের দুর্দান্ত অর্ধশতকে তাসকিনের রেকর্ডময় দিন জয় দিয়েই রাঙাল রাজশাহী।

১৭৫ রানের লক্ষ্যে রাজশাহী জয় পেয়েছে ১১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে। দলের জয়ের পথে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ৪৬ বলে ৭৩ ও রায়ান বার্ল ৩৩ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। দুজন সমান তিনটি ছক্কা হাঁকালেও বিজয় ৯টি চার ও বার্ল ৫টি চার আদায় করেন।

জয়ের লক্ষ্যে অবশ্য শুরুতে ধাক্কাই খেয়েছিল রাজশাহী। ৩১ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস (১২) ও জিশান আলমকে হারিয়ে বসে দলটি। তৃতীয় উইকেটে বিজয় ইয়াসির রাব্বিকে নিয়ে জুটি গড়লেও সেটি ছিল ধীরগতির। দশম ওভারের প্রথম বলে ২০ বলে ২২ রান করে আউট হন রাব্বি। প্রথম দশ ওভারে রাজশাহীর সংগ্রহ ৭৭ রান। অর্থাৎ, শেষ ৬০ বলে প্রয়োজন হয় ৯৮ রান। বিশাল এই রানকে সহজ বানান বিজয় ও বার্ল। অপরাজিত ১০৬ রানের জুটি গড়েন এই দুজন।

এর আগে তাসকিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও শাহাদাত হোসেন দীপুর অর্ধশতক ও স্টিফেন এসকিনজাইয়ের দৃঢ়তায় ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে ঢাকা। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল ঢাকা। তবে তাসকিনের তোপে শুরুতেই লিটন দাস (০) ও তানজিদ হাসান তামিমকে হারায় রাজধানীর দলটি। তৃতীয় উইকেটে দারুণ জুটি গড়েন স্টিফেন এসকিনজাই ও শাহাদাত হোসেন দীপু। দুজনে মিলে ৪৫ বলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। ৯৩ রানের মাথায় এসকিনজাই (২৯ বলে ৪৬) ফিরলে ভাঙে জুটি।

দীপু শুরুতে প্রায় দুই শ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করলেও শেষের দিকে রান তোলার গতি কমে যায়। ৪১ বলে ৫০ রান করে তাসকিনের বলেই রায়ার্ন বার্লকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ঢাকা ১৭৪ রানের বড় পুঁজি পায় অধিনায়ক থিসারা পেরেরার ৯ বলে ২১ ও শুভাম রানজানের ১৩ বলে ২৪ রানের ইনিংসে। ৯ বলে ১৩ রান করে অবদান রাখেন আলাউদ্দিন বাবুও।

শেষ ওভারে ৩ উইকেটসহ ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। নিজের কোটার ৪ ওভার পূর্ণ করে মাত্র ১৯ রান দিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। টি-টোয়েন্টিতে তো বটেই; সব সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়েই এটি তাসকিনের ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। রাজশাহীর হয়ে তাসকিনের ৭ উইকেট ছাড়া বাকি দুই উইকেট নেন হাসান মুরাদ ও মোহর শেখ। তবে ২ ওভার করে বল করে দুজনই ইকোনমি দশের ওপর করে রান দেন। ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে বেশ খরুচে ছিলেন একসময় বাংলাদেশ দলে খেলা পেসার শফিউল ইসলাম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জয় দিয়ে তাসকিনের রেকর্ডময় দিন রাঙাল রাজশাহী

আপডেট টাইম : ০৫:৩৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

তাসকিন আহমেদ আজ ক্যারিয়ারের সেরা, বিপিএলের সেরা, বাংলাদেশের হয়ে সেরা ও টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের তৃতীয় সেরা বোলিং করেছেন। তারপরও অন্যদের বোলিং ব্যর্থতায় দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ১৭৪ রানের লড়াকু পুঁজি গড়েছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে এনামুল হক বিজয় ও রায়ান বার্লের দুর্দান্ত অর্ধশতকে তাসকিনের রেকর্ডময় দিন জয় দিয়েই রাঙাল রাজশাহী।

১৭৫ রানের লক্ষ্যে রাজশাহী জয় পেয়েছে ১১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে। দলের জয়ের পথে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ৪৬ বলে ৭৩ ও রায়ান বার্ল ৩৩ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। দুজন সমান তিনটি ছক্কা হাঁকালেও বিজয় ৯টি চার ও বার্ল ৫টি চার আদায় করেন।

জয়ের লক্ষ্যে অবশ্য শুরুতে ধাক্কাই খেয়েছিল রাজশাহী। ৩১ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস (১২) ও জিশান আলমকে হারিয়ে বসে দলটি। তৃতীয় উইকেটে বিজয় ইয়াসির রাব্বিকে নিয়ে জুটি গড়লেও সেটি ছিল ধীরগতির। দশম ওভারের প্রথম বলে ২০ বলে ২২ রান করে আউট হন রাব্বি। প্রথম দশ ওভারে রাজশাহীর সংগ্রহ ৭৭ রান। অর্থাৎ, শেষ ৬০ বলে প্রয়োজন হয় ৯৮ রান। বিশাল এই রানকে সহজ বানান বিজয় ও বার্ল। অপরাজিত ১০৬ রানের জুটি গড়েন এই দুজন।

এর আগে তাসকিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও শাহাদাত হোসেন দীপুর অর্ধশতক ও স্টিফেন এসকিনজাইয়ের দৃঢ়তায় ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে ঢাকা। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল ঢাকা। তবে তাসকিনের তোপে শুরুতেই লিটন দাস (০) ও তানজিদ হাসান তামিমকে হারায় রাজধানীর দলটি। তৃতীয় উইকেটে দারুণ জুটি গড়েন স্টিফেন এসকিনজাই ও শাহাদাত হোসেন দীপু। দুজনে মিলে ৪৫ বলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। ৯৩ রানের মাথায় এসকিনজাই (২৯ বলে ৪৬) ফিরলে ভাঙে জুটি।

দীপু শুরুতে প্রায় দুই শ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করলেও শেষের দিকে রান তোলার গতি কমে যায়। ৪১ বলে ৫০ রান করে তাসকিনের বলেই রায়ার্ন বার্লকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ঢাকা ১৭৪ রানের বড় পুঁজি পায় অধিনায়ক থিসারা পেরেরার ৯ বলে ২১ ও শুভাম রানজানের ১৩ বলে ২৪ রানের ইনিংসে। ৯ বলে ১৩ রান করে অবদান রাখেন আলাউদ্দিন বাবুও।

শেষ ওভারে ৩ উইকেটসহ ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। নিজের কোটার ৪ ওভার পূর্ণ করে মাত্র ১৯ রান দিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। টি-টোয়েন্টিতে তো বটেই; সব সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়েই এটি তাসকিনের ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। রাজশাহীর হয়ে তাসকিনের ৭ উইকেট ছাড়া বাকি দুই উইকেট নেন হাসান মুরাদ ও মোহর শেখ। তবে ২ ওভার করে বল করে দুজনই ইকোনমি দশের ওপর করে রান দেন। ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে বেশ খরুচে ছিলেন একসময় বাংলাদেশ দলে খেলা পেসার শফিউল ইসলাম।