বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের নীতিমালা চায় সংসদীয় কমিটি

নির্ধারিত ফি’র বিনিময়ে সাধারণ ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের বিধান রেখে খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে সংসদীয় কমিটি। খসড়া নীতিমালায় প্রয়োজনে অস্থায়ী ভিআইপি লাউঞ্জ স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। নীতিমালাটি চূড়ান্ত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে সাব কমিটির বৈঠকে খসড়া নীতিমালা নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কমিটির সদস্য তানভীর ইমামকে আহ্বায়ক এবং আনোয়ার খান ও বেগম কানিজ ফাতেমা আহমেদকে সদস্য করে একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়। সাব কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা শেষে খসড়া নীতিমালাটি মন্ত্রিপরিষদে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী জানান, বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের নীতিমালা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুমোদন করে থাকে। তাই সংসদীয় কমিটির প্রস্তাবটি সেখানে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে সরকারের নির্ধারিত ভিআইপি ছাড়াও সাধারণ যাত্রীরা ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এজন্য তাদেরকে নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের বিধান চালু রয়েছে। নীতিমালা বাস্তবায়নে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বৈঠকে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক প্রস্তুতকৃত বাংলাদেশের পর্যটন মহাপরিকল্পনার খসড়া’র বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্পৃক্ত করে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকের শুরুতে মাতৃভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করেছে এবং ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ শাহাদাৎ বরণকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর