সেই রনিকে আর বিয়ে করছেন না নুসরাত

দীর্ঘ ৭ বছরের সম্পর্ক, এরপর পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের পথে এগিয়ে চলা। যার প্রথম পর্ব শেষ হয় ২০২০ সালে ২১ মার্চ বাগদানের মধ্য দিয়ে। পারিবারিকভাবে হবু বর রনি রিয়াদ রশিদের সঙ্গে তার আংটি বদল হয়। এরপর হবু বরকে নিয়ে ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকা ঘুরে বেড়ান দেশ-বিদেশে।

বাগদানের পর ফারিয়ার প্রথম জন্মদিনে (৮ সেপ্টেম্বর) প্রিয় মানুষের পক্ষ থেকে পেয়েছেন বিশেষ এক উপহারও। যা পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বাসিত ছিলেন ফারিয়া। সে খবরও তখন ঢালাওভাবে প্রচার হয় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে। শুধু তাই নয়, আংটি বদলের পুরো বছরটাই যেন ছিল তাদের দখলে। নানা কারণে খবরের শিরোনামে ছিলেন তারা।

কিন্তু পরের বছরের শুরু থেকেই যেন হারিয়ে যেতে থাকে হবু স্বামীর নামটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও ফারিয়ার সঙ্গে খুব একটা দেখা যায়নি রনির। সেসময়ই গুঞ্জন ওঠে, তাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। আর এ বিষয়ে ফারিয়াকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বারবার জানান, আপাতত অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত আছেন তিনি। আর তাদের দুজনের সিদ্ধান্ত- ভালো একটা সময় দেখে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করবেন। যেহেতু তারা দুজনই বড় হয়েছেন আর্মি পরিবারে। তাদের আত্মীয়-স্বজনদের তালিকাটাও একটু বড়। তাই ভালো একটি দিনক্ষণের অপেক্ষায় ছিলেন তারা।

অবশেষে সেই ‘ভালো দিনক্ষণ’ প্রকাশ্যে এসেছে গতকাল বুধবার। তবে বিয়ে নয়, বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে। ফারিয়া নিজেই তার ফেসবুকে বিয়েটা আর হচ্ছে না জানিয়ে লিখেছেন, ‘তিন বছর আগে এই দিনে আমরা আমাদের বাগ্‌দানের ঘোষণা দিয়েছিলাম। অনেক ভেবেচিন্তে আমি ও রনি দীর্ঘ ৯ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ভাগ্যবান, আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া ও বন্ধুত্ব রয়েছে। আমরা ভাগ্যবান, আমাদের মধ্যে দারুণ একটি বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া রয়েছে। যেটা সারা জীবনই থাকবে। আমার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা, আমার এই কঠিন সময়ে আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।’

 

ফারিয়ার কথায় এখন স্পষ্ট, ২০২১ ও ২২ সালে যখন তাদের সম্পর্কের অবনতির গুঞ্জন ওঠে তার কিছুটাও হলেও সত্য ছিল। কী এমন হয়েছে ফারিয়া-রনির মধ্যে, যার কারণে দুজনের নতুন জীবন শুরুর আগেই ভেঙে যায়?

বিষয়টি নিয়ে ফারিয়ার স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না থাকলেও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই ফারিয়ার সঙ্গে রনির দূরত্ব বাড়তে থাকে। মতের মিল-অমিল নিয়েই তাদের এই দূরত্ব। এর মাঝে ফারিয়া ব্যস্ত ছিলেন নতুন নতুন সিনেমার কাজে। আর রনির ব্যস্ততা বাড়ে ব্যবসায়। যে কারণে তাদের দূরত্বের জায়গাটা আরও বাড়তে থাকে।

একটা সময় তাদের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্বটা অনেক বেশি হয়ে যায়। আর পরিবারের লোকজনও দুজনের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে ছিল। তাদের সম্পর্কের অবনতির বিষয়টি পরিবারের বেশ ভালো করেই জানত। আর সে কারণে ফারিয়া-রনির মতকেই গুরুত্ব দিয়েছে তারা।

কী কারণে তাদের এই দূরত্ব, সে কথা ফারিয়া আর রনিই তারা দুজনেই ভালো বলতে পারবে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপাতত আর কিছুই বলতে চান না ফারিয়া। এখন সময়ই বলে দেবে- কেন বেড়েছে তাদের দূরত্ব, আর কী কারণে নতুন জীবন শুরু করতে পারেনি তারা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর