হাওর বার্তা ডেস্কঃ বীজ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কুড়িগ্রামে লাউ চাষে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার লাউ চাষিরা। এমনকি মূলধন উঠা নিয়েও চিন্তিত তারা।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু লাউ আছে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে।
লাউ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লাউ জমিতে রোপণ করা থেকে ফলন আসা পর্যন্ত সময় লাগে ৩-৪ মাস। এক বিঘা জমিতে লাউ চাষে সব মিলে খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে এক বিঘা জমি থেকে ৬০-৭০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করা যায়। কিন্তু এ বছর সার সংকট, বীজ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে লাউ চাষে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে দুশ্চিন্তার শেষ নেই তাদের।
রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের পাঙ্গা মিরের বাড়ি এলাকার লাউ চাষি মাহাবুব রহমান বলেন, আমি ৩২ শতক জমিতে লাউ চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু লাউ ধরে ধরে পচে যাচ্ছে। শুধু আমার এ অবস্থা নয়, এখানকার সব চাষির একই অবস্থা। কোনো ওষুধ দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না। এবার লাভ তো দূরের কথা আসলই উঠবে কিনা সন্দেহ আছে।
ওই এলাকার মোস্তফা নামে এক কৃষক বলেন, এ বছর তো সবজি চাষ করে বিপদে পড়ছি। সার পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া গেলেও ২৫ কেজির ওপরে সার দিচ্ছে না। তাহলে আবাদ কেমন করে করি?
তিনি আরও বলেন, এবার লাউ পচে যাচ্ছে। এই সময় ৪০০-৫০০ লাউ কাটা হতো, সেই জায়গায় জমিতে লাউ নেই।
আমরা ধারণা করছি, বীজ অথবা আবহাওয়ার কারণে লাউ পচে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের লোকজনও আসে না, পরামর্শও দিচ্ছেন না। এক দিকে সার নাই, অন্য দিকে লাউ পচে যাচ্ছে। সব মিলে আমরা এ বছর অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম যে জমিতে লাউ পচে যাচ্ছে। বিষয়টি কেউ আমাদের জানায়নি। তবে অনেক কারণে লাউ পচে যেতে পারে। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে তাদের পরামর্শ দেওয়া হবে। যাতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।