হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত ক’দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। উজানে উন্নতি হলেও ভাটি এলাকায় অবনতি ঘটেছে। ভাটি এলাকায় নতুন করে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়ে শতশত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগ বেড়েছে পানিবন্দি মানুষের। সরকারি সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
মহারশি নদীর রামেরকুড়া বাঁধ ভেঙ্গে ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শ্রীবরদী উপজেলার ১০টি গ্রামসহ তিন উপজেলার ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। ঘরে ঘরে ঢলের পানি প্রবেশ করায় চুলা জ্বলছে না পানিবন্দি মানুষের। গবাদিপশু, হাঁস-মুরগীসহ গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন কৃষকরা। রাস্তাঘাট ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
পাহাড়ি ঢলের পানিতে পুকুর তলিয়ে শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে যেতে শুরু হলেও ভাটি এলাকায় নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পরেছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। পানিবন্দি কোনো কোনো এলাকার মানুষ কলার ভেলা ও নৌকা যোগে যাতায়াত করতে হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শতশত মানুষের। দ্বিতীয় দফায় বন্যায় পানিতে ডুবে শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের মাঝে শুকনো খাবারসহ ত্রাণ তৎপরতা শুরু করা হয়েছে।
সোমবার ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম পানিবন্দি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ মানবিক সহায়তা হিসেবে মানুষের হাতে তুলে দেন। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ বলেন, ইতোমধ্যেই ১৫ মেট্রিক টন চাল ও ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। বিতরন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।