হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাজারে দ্রব্যমূল্যের অস্থিরতায় পিছিয়ে নেই ডিমও। খুচরা বাজারে প্রতি পিস ফার্মের মুরগির ডিম ১০ টাকা, হালি ৪০ টাকা আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন, মাছ-মাংসের পর এবার ডিমও চলে যাচ্ছে নিম্নবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ঢাকা শহরে প্রতিটি ডিম ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৮ টাকা দামে খেয়ে অভ্যস্ত সাধারণ মানুষ। যে ডিম কয়েক মাস আগেও হালি মিলতো ২৮ থেকে ৩২ টাকায়, সেটাই হালিতে বেড়েছে ১০-১২ টাকা।
এরমধ্যেই আবার ডিমের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, দফায় দফায় দাম বেড়ে এ পরিস্থিতি দাঁড়ালেও এখনো বাজারে সরবরাহ সংকট কাটেনি। সপ্তাহখানেক বাদে আরও কিছুটা বাড়তে পারে ডিমের দাম।
শনিবার (৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর মালিবাগ বাজারের ডিম বিক্রেতা ফরিদ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, দাম আরও বাড়বে, পাইকাররা এরইমধ্যে সেটা জানিয়েছে।
ওই বাজারে পাইকারি ডিম কিনলে হালিতে ২ টাকা আর ডজনে ৫ টাকা কম পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে মুরগির ডিমের (লাল) হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায়। ডজনের হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। একই ডিম পাড়া-মহল্লার খুচরা বিক্রেতারা বাজারে এনে বিক্রি করছেন ১০ টাকা পিস দামে।
তেজগাঁওয়ের পাইকারি ডিমের আরতে প্রতি ১০০ পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯২০ টাকা দরে। যা এক সপ্তাহ আগেও ৮৪০ থেকে ৮৬০ টাকার মধ্যে ছিল।
রামপুরা বাজারের ডিম বিক্রেতা খাদেম জানান, তারা একশোর হিসাবে ডিম কেনেন। গত বুধবার ১০০ ডিম কিনেছেন ৮৮০ টাকা দরে। শুক্রবারে একই ডিম কিনতে হয়েছে ৯২০ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক ডজন হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। অর্থাৎ, একটি হাঁসের ডিম কিনতে ক্রেতাকে খরচ করতে হচ্ছে ১৫ থেকে ১৭ টাকা।
খামারিদের বরাত দিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘদিন উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে ডিমের দাম কম থাকায় অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। সে কারণে এখন চাহিদার তুলনায় ডিমের উৎপাদন অনেক কম। সরবরাহ সংকটের কারণে দাম বাড়ছে।
তারা জানান, রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় ৫০ ভাগ ডিম ও মুরগির জোগান দেন গাজীপুরের খামারিরা। একসময় ওই জেলায় ডিম উৎপাদনকারী বা লেয়ার মুরগির খামার ছিল ৪ হাজার ১০৬টি ও ব্রয়লার মুরগির খামার ছিল ২ হাজার ৫৬৫টি। কিন্তু ক্রমাগত লোকসানের কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এখনো ওইসব এলাকায় আড়াই-তিন হাজার খামার রয়েছে। সেগুলোতে ডিমের উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক কম।