হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুস্থ থাকার জন্য ফিট থাকা জরুরি। তবে আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাবারদাবারের কারণে ফিট থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। দেখা যায় অসাবধানতার কারণে আমাদের শরীরে বাড়তি মেদ জমতে থাকে। যা বিপদের প্রথম লক্ষণ।
অনেকেই আবার এই বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফিট ও সুন্দর থাকতে ডায়েট করেন। দেখা যায় ডায়েট করতে গিয়ে অনেকেই সকালের নাস্তা পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেন। যা আরো ভয়ানক বিপদ আশংকা বাড়ায়। এই প্রবণতা শরীরে বাধাতে পারে নানা রোগ, ডেকে আনতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। তাই সকালের নাস্তা বাদ নয়; বরং সঠিক সময়ে, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিমাণে একটু বেশিই হওয়া চাই।
মুড সুইং
সকালের নাস্তা না খেলে মনমানসিকতায় নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। দেহের শক্তির যথেষ্ট ঘাটতি হয়। ফলে মেজাজ হয়ে যায় খিটখিটে, ঘিরে ধরে অবসাদ।
মাইগ্রেন
সকালের নাস্তা বাদ দেওয়ার ফল হতে পারে মাইগ্রেন। সারা রাত অভুক্ত থেকে সকালে কিছু না খেলে শরীরে পানির ঘাটতি হয়ে বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হয়।
ওজন বৃদ্ধি
সকালে না-খাওয়ায় খিদে বাড়ে এবং দুপুরে পরিমাণে অনেক বেশি খাওয়া হয়ে যায়। এই প্রবণতা ওজন কমানোর বদলে উল্টো ওজন বাড়িয়ে দেয়। ফলে মুটিয়ে গিয়ে দেহে বাধে নানা রোগ।
দুর্বল স্মৃতিশক্তি
সঠিক সময়ে সকালের নাস্তা করলে স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতার যথেষ্ট উন্নতি হয়। অন্যদিকে সকালে পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না বলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হৃদরোগ
স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে। সকালের নাস্তা বাদ দিলে উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি সমস্যা বাড়ে। এসব কারণে একপর্যায়ে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিস
প্রতিদিন সকালের নাস্তা বাদ দিতে থাকলে টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। শরীরে ইনসুলিনের ভারসাম্য নষ্ট হয় শুধু সকালের নাস্তা বাদ দেওয়ার কারণে। এর কারণে আবার অনেকের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, বিশেষ করে নারীদের।