ঢাকা ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুল উৎসব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০১৬
  • ৫১২ বার

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা দিবসকেন্দ্রীক উদযাপনে রজনীগন্ধা, গোলাপ, গ্ল্যাডিওলাস, গাঁদা, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা ইত্যাদি ফুলের চাহিদা এবং বিক্রি বহুগুন বেড়েছে।

গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হওয়া এসব ফুল নিয়েই আজ প্রথমবারের মত ঢাকায় শুরু হয়েছে দুই দিন ব্যপী ‘পুষ্প উৎসব’।

আয়োজকেরা বলছেন, ফুলের চাহিদা দেশীয় বাজারেই এখন বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলছেন, মূলত ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে চাহিদা বেশি হলেও, সারাদেশেই বছর জুড়ে ফুলের চাহিদা রয়েছে।

আব্দুর রহিম বলছেন, এই মূহুর্তে মোট ২৮টি জেলায় ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হলেও, এক যশোরেই উৎপাদন হয় চাহিদার সিংহভাগ ফুল।

বছর জুড়েই চলে ফুলের চাষ। তবে, মৌসুম ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ফুলের চাষ হয়ে থাকে, যেমন ভালোবাসা দিবসে চাহিদা বেশি থাকে গোলাপের, ফলে সেসময় এই ফুলের যোগান দেন চাষীরা।

আবার ভাষা দিবস বা স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি আর তোড়া বানাতে লাগে গাঁদা ফুল, ফলে ওই সময়টাতে যোগান দিতে হয় এই ফুলের।

এর বাইরে সারা বছরই বিয়ে বা অন্যান্য উদযাপনের জন্য যেসব ফুল ব্যবহার করা হয়, সেসবের চাষ বছর জুড়েই চলে।

এর পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে দুবাই, কাতার এবং সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশে ফুল রফতানিও শুরু হয়েছে।

এছাড়া মালয়েশিয়া ও জাপানেও রফতানির চেষ্টা চলছে বলে জানান আব্দুর রহিম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ফুল উৎসব

আপডেট টাইম : ১০:৫৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০১৬

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা দিবসকেন্দ্রীক উদযাপনে রজনীগন্ধা, গোলাপ, গ্ল্যাডিওলাস, গাঁদা, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা ইত্যাদি ফুলের চাহিদা এবং বিক্রি বহুগুন বেড়েছে।

গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হওয়া এসব ফুল নিয়েই আজ প্রথমবারের মত ঢাকায় শুরু হয়েছে দুই দিন ব্যপী ‘পুষ্প উৎসব’।

আয়োজকেরা বলছেন, ফুলের চাহিদা দেশীয় বাজারেই এখন বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলছেন, মূলত ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে চাহিদা বেশি হলেও, সারাদেশেই বছর জুড়ে ফুলের চাহিদা রয়েছে।

আব্দুর রহিম বলছেন, এই মূহুর্তে মোট ২৮টি জেলায় ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হলেও, এক যশোরেই উৎপাদন হয় চাহিদার সিংহভাগ ফুল।

বছর জুড়েই চলে ফুলের চাষ। তবে, মৌসুম ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ফুলের চাষ হয়ে থাকে, যেমন ভালোবাসা দিবসে চাহিদা বেশি থাকে গোলাপের, ফলে সেসময় এই ফুলের যোগান দেন চাষীরা।

আবার ভাষা দিবস বা স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি আর তোড়া বানাতে লাগে গাঁদা ফুল, ফলে ওই সময়টাতে যোগান দিতে হয় এই ফুলের।

এর বাইরে সারা বছরই বিয়ে বা অন্যান্য উদযাপনের জন্য যেসব ফুল ব্যবহার করা হয়, সেসবের চাষ বছর জুড়েই চলে।

এর পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে দুবাই, কাতার এবং সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশে ফুল রফতানিও শুরু হয়েছে।

এছাড়া মালয়েশিয়া ও জাপানেও রফতানির চেষ্টা চলছে বলে জানান আব্দুর রহিম।