ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার সুযোগ পাবে পথশিশুরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৭:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১
  • ১৪১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পথশিশুদের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করানোর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানানো হয়। একটি শিশুও রাস্তায় থাকবে না, রাস্তায় ঘুমাবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা অনুযায়ী শেখ রাসেল দিবসকে ঘিরে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আগামী ১৮ অক্টোবর রাসেল দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত ২৩ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে দেশের পথশিশুদের শিক্ষায় ফিরিয়ে আনতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্তে জানানো হয়, দেশের পথশিশুদের শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়ে আসার কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার মতো সুযোগ আছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করানো হয়। এটি মূলত বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের (বিএনএফ) কাজ।’

দেশের সুবিধা বঞ্চিত অনূর্ধ্ব ১৫ বছর বয়সী শিশুদের সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া এবং দক্ষতা উন্নয়নের কাজ করে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট ঢাকা বিভাগে ৬৫টি, বরিশাল বিভাগে ২৫টি, চট্টগ্রামে ১১টি, সিলেটে ৫টি, রাজশাহী ২২টি, রংপুরে ৪৭টি খুলনা ১৬টি ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪টিসহ সারা দেশে ২০৫টি শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করানো হয়।

দেশে শিশুদের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শিশু একাডেমি ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ৬৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রাক-প্রাথমিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সরকারি শিশু পরিবার বাবা-মা নেই এমন এতিম শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি শিশু পরিবার পরিচালনা করছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমনি নিবাস বাবা-মায়ের পরিচয়হীন শূন্য থেকে সাত বছর বয়সী পরিত্যক্ত, পাচার থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুদের লালনপালন ও সাধারণ শিক্ষা দেওয়া হয়। আর বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ) নারী ও শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার কাজ করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার সুযোগ পাবে পথশিশুরা

আপডেট টাইম : ১২:৫৭:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পথশিশুদের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করানোর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানানো হয়। একটি শিশুও রাস্তায় থাকবে না, রাস্তায় ঘুমাবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা অনুযায়ী শেখ রাসেল দিবসকে ঘিরে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আগামী ১৮ অক্টোবর রাসেল দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত ২৩ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে দেশের পথশিশুদের শিক্ষায় ফিরিয়ে আনতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্তে জানানো হয়, দেশের পথশিশুদের শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়ে আসার কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার মতো সুযোগ আছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করানো হয়। এটি মূলত বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের (বিএনএফ) কাজ।’

দেশের সুবিধা বঞ্চিত অনূর্ধ্ব ১৫ বছর বয়সী শিশুদের সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া এবং দক্ষতা উন্নয়নের কাজ করে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট ঢাকা বিভাগে ৬৫টি, বরিশাল বিভাগে ২৫টি, চট্টগ্রামে ১১টি, সিলেটে ৫টি, রাজশাহী ২২টি, রংপুরে ৪৭টি খুলনা ১৬টি ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪টিসহ সারা দেশে ২০৫টি শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করানো হয়।

দেশে শিশুদের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শিশু একাডেমি ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ৬৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রাক-প্রাথমিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সরকারি শিশু পরিবার বাবা-মা নেই এমন এতিম শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি শিশু পরিবার পরিচালনা করছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমনি নিবাস বাবা-মায়ের পরিচয়হীন শূন্য থেকে সাত বছর বয়সী পরিত্যক্ত, পাচার থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুদের লালনপালন ও সাধারণ শিক্ষা দেওয়া হয়। আর বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ) নারী ও শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার কাজ করে।