সমন্বিত প্রচেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নগরবাসীর সচেতনতা, জলবায়ু পরিবর্তন, সিটি কর্পোরেশন ও মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক কার্যক্রমের ফলে আগামী এক মাসের মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। 

আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘ইইউ সাপোর্ট টু হেলথ অ্যন্ড নিউট্রিশন টু দ্য পুওর ইন আরবান বাংলাদেশ’ প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর জনগণকে সাথে নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। সকাল-বিকাল নিয়মিত স্প্রে করা হচ্ছে। কিভাবে এডিস মশার প্রজনন ধ্বংস করা যাবে সেসব বিষয়ে মানুষকে বিভিন্নভাবে সচেতন করা হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, ডেঙ্গু একটি গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ। শুধু বাংলাদেশই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে না, এশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় যে সকল দেশ সফলতা পেয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা এবং সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, পৌরসভাগুলোকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে সরকার। ইতিমধ্যে কিছু পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু জনবল সংকট রয়েছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে পৌরসভাগুলো তাদের সংকট কাটিয়ে সক্ষমতা অর্জন করবে।

তিনি আরো বলেন, গ্রামীণ এলাকার তুলনায় নগর এলাকায় স্বাস্থ্য সেবা কিছুটা ভালো তবে এটি সন্তোষজনক অবস্থায় নেই।

পৌরসভাগুলোতে স্বাস্থ্য সেবায় পর্যাপ্ত জনবল নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে যাতে তারা নিজেরা নাগরিক সেবা প্রদান করতে পারে।

উল্লেখ্য, প্রকল্পের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক সরাসরি নির্বাচিত এনজিওর মাধ্যমে চারটি সিটি করপোরেশন, দশটি পৌরসভা এলাকায় পাঁচ লাখ তিন হাজার ছয় শো সাতাশটি পরিবারকে বিনামূল্যে ভাউচার কার্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া, দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌরসভার তিন হাজার ছয় শো ১৮ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং পৌরসভা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক হাজার আটশো এক জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর