বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব -আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, একটি
সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মাধ্যমেই গড়ে উঠতে পারে একটি অসাম্প্রদায়িক উদার গণতান্ত্রিক
বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলকে
সাংস্কৃতিক বিপ্লবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আজ ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর ৫০ বছর উপলক্ষ্যে তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প আয়োজিত গ্রন্থটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে এ আহ্বান জানান ।
বাঙালির স্বাধীনতা ও অধিকার আদায়ের যুদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠন, আর্থিক
সহায়তাদান এবং ভারতে আশ্রয় নেওয়া কোটি শরনার্থীদের খাদ্য, চিকিৎসার জন্য
ঐতিহাসিক ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অবলম্বনে কফি টেবিল বই ‘দ্য কান্ট্রি দ্যাট লিভড-
ফিফটি ইয়্যারস অব ফ্রিডম অ্যান্ড দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ ডিজিটাল বই এর
উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে দীর্ঘ সংগ্রাম শুধু স্বাধীনতা অর্জনের মধ্যে
সীমাবদ্ধ ছিল না। এর লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সুপরিকল্পিত অর্থনৈতিক
কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য
নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও কার্যক্রমের বাস্তবায়ন করছিলেন। বাংলাদেশকে তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তির একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন । কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলে দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পথে পথ
চলা থেমে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর অসামাপ্ত কাজের
বাস্তবায়ন করছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশে বিভিন্ন উদ্যোগের
বাস্তবায়ন করেছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা ৪৩ বছর পর বঙ্গবন্ধুর নামে মহাকাশে
স্যাটেলাইট প্রেরণ করে তাঁর আকাঙ্ক্ষারই বাস্তবায়ন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কনসার্ট ফর বাংলাদেশ শুধু বাংলাদেশেরই নয় সারা বিশ্বে
নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে পণ্ডিত রবিশঙ্কর, জর্জ হ্যারিসনসহ বিশ্বখ্যাত
শিল্পীরা ১৯৭১ সালে নিউইয়র্কে ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে বিশ্বের বুকে
বাংলাদেশকে তুলে ধরেছিলেন। কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থ ইউনিসেফ এর মাধ্যমে
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শরণার্থীদের জন্য সহায়তা করেছিলেন।

এলআইসিটি প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি অ্যাডভাইজার সামি আহেমেদের
সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন আইডিয়া প্রকল্প পরিচালক আবদুর রাকিব,
অ্যাপেক্স ডিএমআইটি’র সিইও ও কান্ট্রিডিরেক্টর জারা মাহবুব।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর