ঢাকা ০১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭৫ বছর বয়সেও পুরুষদের সঙ্গে নিয়মিত মাছ ধরছেন জোহরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
  • ১৬৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তিউনিসিয়ার বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী জোহরা ট্রাবেলসি। চেহারায় স্পষ্ট বার্ধক্যের ছাপ। এই নারী জেলের জীবনের ৬ দশকই কেটেছে মাছ ধরার পেশায়। এখনও স্বামী-সন্তানের সঙ্গে তিনি প্রতিদিনই সাগরে নামেন। ছোট বেলায় এই পেশায় আসা হয়েছিল বাবার হাত ধরে।

জোহরা পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন নিয়ম করে ভোর ৪টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে মাছ শিকার করেন। জোহরার বয়স যখন ১৬ বছর তখন থেকে সমুদ্রে মাছ ধরছেন। কারণ তার বাবার কোনো ছেলে সন্তান ছিল না। জোহরা এবং তার বোন ছেলের মতো করেই বাবাকে মাছ ধরার সাহায্য করেছেন। বর্তমানে স্বামী, সন্তান সব কিছু নিয়েই এই পেশায় আছেন।

৬ দশক ধরে এই পেশায় আছেন জোহরা

৬ দশক ধরে এই পেশায় আছেন জোহরা

জোহরার ছেলে হাম্মাদি মাজদুব বলেন, এখানে আমার মা একমাত্র নারী জেলে। পুরুষদের সঙ্গে দিব্যি কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক সময় বৃষ্টির মধ্যে আমরা আসি না। কিন্তু আমার মা আসেন মাছ ধরতে। কারণ তিনি এই পেশাকে ভালোবাসেন।

শুধু মাছ ধরাই নয়, সেই মাছ বাজারে নিয়ে বিক্রিও করেন ৭ সন্তানের এই জননী। এখন চাইলে অবসরে যেতে পারেন। কিন্তু জোহরা জানান, এই কাজ যে তার কাছে নেশা হয়ে গেছে। তিনি বলেন, অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছি আমি। কিন্তু এই পেশা ছেড়ে অন্য কোথাও টিকতে পারিনি। আবারও ফিরে এসেছি। শরীর যত ভালোই থাক বা খারাপই হোক প্রতিদিন ভোরে কাজে আমাকে আসতেই হয়। আমার সব সুখ, দুঃখ এখানেই।

স্বামী সন্তানদের সঙ্গে প্রতিদিন সমুদ্রে যান মাছ ধরতে

স্বামী সন্তানদের সঙ্গে প্রতিদিন সমুদ্রে যান মাছ ধরতে

মহামারির কারণে তিউনিশয়ার বাজারে মাছের দাম আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। তাই পরিবারের স্বচ্ছলতার কথা ভেবে এখনও নিয়ম করে সমুদ্রে মাছ ধরেন এই বৃদ্ধা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

৭৫ বছর বয়সেও পুরুষদের সঙ্গে নিয়মিত মাছ ধরছেন জোহরা

আপডেট টাইম : ০৪:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তিউনিসিয়ার বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী জোহরা ট্রাবেলসি। চেহারায় স্পষ্ট বার্ধক্যের ছাপ। এই নারী জেলের জীবনের ৬ দশকই কেটেছে মাছ ধরার পেশায়। এখনও স্বামী-সন্তানের সঙ্গে তিনি প্রতিদিনই সাগরে নামেন। ছোট বেলায় এই পেশায় আসা হয়েছিল বাবার হাত ধরে।

জোহরা পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন নিয়ম করে ভোর ৪টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে মাছ শিকার করেন। জোহরার বয়স যখন ১৬ বছর তখন থেকে সমুদ্রে মাছ ধরছেন। কারণ তার বাবার কোনো ছেলে সন্তান ছিল না। জোহরা এবং তার বোন ছেলের মতো করেই বাবাকে মাছ ধরার সাহায্য করেছেন। বর্তমানে স্বামী, সন্তান সব কিছু নিয়েই এই পেশায় আছেন।

৬ দশক ধরে এই পেশায় আছেন জোহরা

৬ দশক ধরে এই পেশায় আছেন জোহরা

জোহরার ছেলে হাম্মাদি মাজদুব বলেন, এখানে আমার মা একমাত্র নারী জেলে। পুরুষদের সঙ্গে দিব্যি কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক সময় বৃষ্টির মধ্যে আমরা আসি না। কিন্তু আমার মা আসেন মাছ ধরতে। কারণ তিনি এই পেশাকে ভালোবাসেন।

শুধু মাছ ধরাই নয়, সেই মাছ বাজারে নিয়ে বিক্রিও করেন ৭ সন্তানের এই জননী। এখন চাইলে অবসরে যেতে পারেন। কিন্তু জোহরা জানান, এই কাজ যে তার কাছে নেশা হয়ে গেছে। তিনি বলেন, অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছি আমি। কিন্তু এই পেশা ছেড়ে অন্য কোথাও টিকতে পারিনি। আবারও ফিরে এসেছি। শরীর যত ভালোই থাক বা খারাপই হোক প্রতিদিন ভোরে কাজে আমাকে আসতেই হয়। আমার সব সুখ, দুঃখ এখানেই।

স্বামী সন্তানদের সঙ্গে প্রতিদিন সমুদ্রে যান মাছ ধরতে

স্বামী সন্তানদের সঙ্গে প্রতিদিন সমুদ্রে যান মাছ ধরতে

মহামারির কারণে তিউনিশয়ার বাজারে মাছের দাম আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। তাই পরিবারের স্বচ্ছলতার কথা ভেবে এখনও নিয়ম করে সমুদ্রে মাছ ধরেন এই বৃদ্ধা।