শেষ মুহূর্তের কেনাবেচা চলছে বেইমেলায়। হয়তো একদিন আগেই শেষ হয়ে যেতো প্রাণের মেলা। কিন্তু অধিবর্ষের কল্যাণে এবার মেলা গড়ালো ২৯ দিনে। আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি। গ্রন্থমেলার শেষ দিন।
মাসব্যাপী গ্রন্থমেলায় প্রায় কয়েকশো স্টলে কয়েক হাজার লেখকের বই প্রকাশিত হয়েছে। মাসজুড়ে ক্রেতার উপস্থিতিও ছিলো চোখে পড়ার মতো। বিক্রেতারাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবারের বইমেলা নিয়ে।
কোন বইটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে? অবশ্য এমন কৌতুহল জাগাই স্বাভাবিক। তবে ‘যুব জাগরণ’ স্টলটিতে।2
‘যুব জাগরণ’ এর উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ শিরোনামের দুটি জীবনীগ্রন্থ প্রায় ৩০ হাজার কপি বিক্রি হয়েছে। মাত্র একশ টাকার বিনিময়ে তারা পাঠকের হাতে বই দুটি তুলে দেয় ।
একুশে বই মেলা উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্টল পরিদর্শন করে। স্টল ঘুরে সাধুবাদ জানিয়ে মন্তব্য বইয়ে লিখেছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীমূলক এ বই দুটি কিনতে স্টলটির সামনে পাঠকেরা দাঁড়িয়ে আছে। দাঁড়িয়ে থাকা পাঠকদের অধিকাংশই তরুণ। তাদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই প্রাধান্য পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা গ্রন্থ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। তার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শেখ হাসিনার লিখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বই দুটি।
আওয়ামী যুবলীগের প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু জানান, ‘মেলার শেষ দিন পর্যন্ত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি বিক্রি হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কপি। আর ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইটি বিক্রি হয়েছে প্রায় সোয়া ১০ হাজার কপি।
ইকবাল মাহমুদ বাবলু জানান, ‘চারবছর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ একুশে গ্রন্থমেলায় বইয়ের স্টল দিচ্ছে। এ স্টলে যুবলীগের নিজস্ব প্রকাশনা, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার লিখা বই রাখা হয়। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী পৌঁছে দিতে ভর্তুকি দিয়ে সেসব বই বিক্রি করা হয়।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ ওমর ফারুক চৌধুরীর যুব গবেষণা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে এ স্টলটি পরিচালিত হচ্ছে বলে তিনি জানান।
যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘যারা স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাসী তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন। বাংলাদেশের মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে চান। আর বঙ্গবন্ধুকে জানার মাধ্যম হলো বঙ্গবন্ধুর নিজের লিখা বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং শেখ হাসিনার নিজের লিখা বই ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’।’
স্টলটিতে যুবলীগ প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে, বাঙালির হৃদয়ের ফ্রেমে জাতির পিতা, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দর্শন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার পরিবর্তনের ডাক, শেখ হাসিনার জীবন ও সংগ্রাম – গণজাগরণের কাব্য, ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন, তোমরা যারা শিবির কর, জাতিসংঘে চার দশক বিশ্বের চোখে বাংলাদেশ, “গণ” পুড়িয়ে “তন্ত্র” দিয়ে কি করবেন ম্যাডাম? যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর লেখা “জনগণের ক্ষমতায়ন বিশ্ব শান্তির নেতা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা” বইগুলো অন্যতম।
এছাড়া শেখ হাসিনার রচনা সমগ্র-(১), শেখ হাসিনার রচনা সমগ্র (২), নিঃসঙ্গ কারাগারে শেখ হাসিনার ৩৬১ দিন, আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি, সহে না মানবতার অবমাননা, সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি- সজীব ওয়াজেদ জয়, বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত মানবতা, দেশরত্ন শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের স্বৈরতন্ত্রের জন্মসহ বিভিন্ন ধরনের বই এ স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে যুবলীগের স্টল এ পর্যন্ত পরিদর্শন করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি এমপি, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি, বরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী, প্রখ্যাত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর, মোহাম্মদ সেলিম, চিকিৎসাবিদ ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, নাট্য ব্যক্তিত্ব এমএ আজিজসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।