ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যবহারকারীর তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে ইমোর ‘সিক্রেট চ্যাট’ ফিচার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১
  • ২০২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর তথ্যে সুরক্ষা প্রদানে নতুন ‘সিক্রেট চ্যাট’ ফিচার নিয়ে এসেছে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমো। নতুন এ ফিচারের সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে সেশন শেষ হওয়ার পরে মেসেজের ‘সেলফ-ডেস্ট্রাকশন’ সুবিধা ও মেসেজের ‘ডিসেমিনেশন কন্ট্রোল।’ অর্থাৎ, কোনো চ্যাট সেশন থেকে বের হওয়ার পরে সেখানকার সব কথোপকথন তাৎক্ষণিকভাবে মুছে যাবে, ফলে কেউ ওই সেশনের কোনো কথোপকথন পরে খুঁজে পাবে না।

ইমো’তে কোনো নির্দিষ্ট কন্ট্যাক্টের চ্যাট ইন্টারফেসে অ্যাটাচমেন্ট বারে খুঁজে পাওয়া যাবে নতুন সিক্রেট চ্যাট ফিচারটি। এ ফিচারে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে চ্যাট সেশনের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

নতুন এ ফিচারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ডেসিমিনেশন কন্ট্রোল ফাংশন। এ ফাংশনের অধীনে, কেউ ব্যক্তিগত কথোপকথন কপি, ফরোয়ার্ড, শেয়ার ও ডাউনলোড করতে পারবে না। এছড়াও কথোপকথনের স্ক্রিনশট নেয়া কিংবা ভিডিও ধারণও করা যাবে না ফিচারটির ফলে। তাই ইমো ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আলাপচারিতা আরও আস্থা ও নিরাপত্তার সাথে করতে পারবেন।

ব্যবহারকারীরা ইমো ব্যবহারে যেন আরো বেশি নিরাপদ বোধ করে, সে কারণে বিগত কয়েক মাসে নানা ধরণের নিরাপত্তা বৃদ্ধি সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্লাটফর্মটি। গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষায় ইমো ফোন নাম্বার ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করে। বিশেষত যখন ব্যবহারকারীরা নাম্বার সুইচ করেন, তখন এই ভেরিফিকেশন সিস্টেমটি ব্যবহারকারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এ ভেরিফিকেশন সিস্টেমে পুরোনো ফোন নাম্বার ইমো’র সাথে সম্পৃক্ত অ্যাকাউন্টের তথ্য অ্যাকসেস করতে পারবে না, ফলে সংশ্লিষ্ট তথ্য সুরক্ষিত থাকবে।

বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ইমোর মাধ্যমে একে অপরের সাথে যুক্ত। বাংলাদেশে প্রতিদিন ইমো’র মাধ্যমে প্রায় ১৫০ মিলয়ন ফ্রি কল করা হয় এবং ভিডিও ও ছবি আদান-প্রদান করা হয়। এছাড়াও, ২০২০ সালে ইমো’র মাধ্যমে ৯৬ বিলিয়ন বার্তা আদান-প্রদান হয়েছে এবং ২৬ বিলিয়ন অডিও ও ভিডিও কল করা হয়েছে। এ পরিসংখ্যানের মাধ্যমে স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় যোগাযোগের প্রয়োজনে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ ইমো’র ওপর নির্ভর করছে। সম্প্রতি চালু করা ইমো’র ‘সিক্রেট চ্যাট’ ফিচারটি ব্যবহারকারীদের এখন একে অপরের সাথে আরও সুরক্ষিতভাবে যোগাযোগের সুযোগ করে দিবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ব্যবহারকারীর তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে ইমোর ‘সিক্রেট চ্যাট’ ফিচার

আপডেট টাইম : ০৯:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর তথ্যে সুরক্ষা প্রদানে নতুন ‘সিক্রেট চ্যাট’ ফিচার নিয়ে এসেছে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমো। নতুন এ ফিচারের সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে সেশন শেষ হওয়ার পরে মেসেজের ‘সেলফ-ডেস্ট্রাকশন’ সুবিধা ও মেসেজের ‘ডিসেমিনেশন কন্ট্রোল।’ অর্থাৎ, কোনো চ্যাট সেশন থেকে বের হওয়ার পরে সেখানকার সব কথোপকথন তাৎক্ষণিকভাবে মুছে যাবে, ফলে কেউ ওই সেশনের কোনো কথোপকথন পরে খুঁজে পাবে না।

ইমো’তে কোনো নির্দিষ্ট কন্ট্যাক্টের চ্যাট ইন্টারফেসে অ্যাটাচমেন্ট বারে খুঁজে পাওয়া যাবে নতুন সিক্রেট চ্যাট ফিচারটি। এ ফিচারে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে চ্যাট সেশনের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

নতুন এ ফিচারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ডেসিমিনেশন কন্ট্রোল ফাংশন। এ ফাংশনের অধীনে, কেউ ব্যক্তিগত কথোপকথন কপি, ফরোয়ার্ড, শেয়ার ও ডাউনলোড করতে পারবে না। এছড়াও কথোপকথনের স্ক্রিনশট নেয়া কিংবা ভিডিও ধারণও করা যাবে না ফিচারটির ফলে। তাই ইমো ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আলাপচারিতা আরও আস্থা ও নিরাপত্তার সাথে করতে পারবেন।

ব্যবহারকারীরা ইমো ব্যবহারে যেন আরো বেশি নিরাপদ বোধ করে, সে কারণে বিগত কয়েক মাসে নানা ধরণের নিরাপত্তা বৃদ্ধি সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্লাটফর্মটি। গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষায় ইমো ফোন নাম্বার ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করে। বিশেষত যখন ব্যবহারকারীরা নাম্বার সুইচ করেন, তখন এই ভেরিফিকেশন সিস্টেমটি ব্যবহারকারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এ ভেরিফিকেশন সিস্টেমে পুরোনো ফোন নাম্বার ইমো’র সাথে সম্পৃক্ত অ্যাকাউন্টের তথ্য অ্যাকসেস করতে পারবে না, ফলে সংশ্লিষ্ট তথ্য সুরক্ষিত থাকবে।

বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ইমোর মাধ্যমে একে অপরের সাথে যুক্ত। বাংলাদেশে প্রতিদিন ইমো’র মাধ্যমে প্রায় ১৫০ মিলয়ন ফ্রি কল করা হয় এবং ভিডিও ও ছবি আদান-প্রদান করা হয়। এছাড়াও, ২০২০ সালে ইমো’র মাধ্যমে ৯৬ বিলিয়ন বার্তা আদান-প্রদান হয়েছে এবং ২৬ বিলিয়ন অডিও ও ভিডিও কল করা হয়েছে। এ পরিসংখ্যানের মাধ্যমে স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় যোগাযোগের প্রয়োজনে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ ইমো’র ওপর নির্ভর করছে। সম্প্রতি চালু করা ইমো’র ‘সিক্রেট চ্যাট’ ফিচারটি ব্যবহারকারীদের এখন একে অপরের সাথে আরও সুরক্ষিতভাবে যোগাযোগের সুযোগ করে দিবে।