হাওর বার্তা ডেস্কঃ অজু হল ইসলামের বিধান অনুসারে দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা। মুসলমানদের নামাজের পূর্বে অজু করে নেয়া বাধ্যতামূলক। অজুর পর ছোট্ট একটি সুন্নাত আমল করায় রয়েছে অনেক বড় ফজিলত। যার আমলকারী পছন্দের দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে বলেছেন বিশ্বনবি। কী সেই সুন্নাতি আমল?
অজুর পর সহজ ও ছোট্ট একটি আমলেই মিলবে জান্নাত। জান্নাতের ৮ দরজার যে কোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে মুমিন। সহজ আমলটি হলো অজুর পর কালেমা শাহাদাত পড়া। হাদিসে এসেছে-
হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে অজু করবে এরপর বলবে-
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُه وَرَسُولُه
উচ্চারণ: আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।
অর্থ: ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য উপাস্য নেই। তিনি একক তাঁর কোনো শরিক নেই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসুল।’
তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে। এসব দরজার যেটি দিয়ে খুশী সে সেই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।’ (মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ তিরমিজিতে এসেছে, ‘কালেমা শাহাদাত পড়ার পর ইমাম তিরমিজি এ দোয়াটিও বর্ণনা করেছেন-
اللّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাজ আলনি মিনাত্ তাওয়াবিনা ওয়াজআলনি মিনাল মুতাত্বাহ্হিরিন।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তাওবাহকারীদের মধ্যে শামিল কর এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের মধ্যে গণ্য কর।’ (মুসলিম, তিরমিজি)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, অজুর পর ছোট্ট ও সহজ এ দুটি আমল করা। আর এর বিনিময়ে অজুকারী ব্যক্তি জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়েই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।