ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে বিয়ের আগে পরস্পরকে যে প্রশ্নগুলো করা জরুরি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:২১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১
  • ২১৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রিটিশ রাজপরিবারে বর্ণবৈষম্যের ভয়াবহ অভিযোগ তুলেছেন প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল। তার গায়ের রঙ কালো হওয়ার কারণে সন্তানের গায়ের রঙ কেমন হবে তা নিয়ে রাজপ্রাসাদে আলোচনা চলতো বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তিনি।

রবিবার রাতে সিবিএস চ্যানেলে সম্প্রচারিত জনপ্রিয় মার্কিন সঞ্চালক অপরাহ উইনফ্রেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন অভিযোগ করেন মেগান। খবর রয়টার্সের
মেগানের দাবি, তিনি তখন গর্ভবতী। সেই সময় তার স্বামী প্রিন্স হ্যারিকে ডেকে বলা হয়েছিল, ‘যদি তাদের ছেলের গায়ের রং কালো হয়, তাহলে তাকে রাজকুমার বলে মেনে নেওয়া হবে না’।

বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে এর আগে সরব হয়েছেন বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। কিন্তু ব্রিটেনের রাজপরিবারের অন্দরে গায়ের রঙ নিয়ে এমন অভিযোগে অবাক বিশ্ব।

রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে এখন সাধারণ জীবনযাপন করছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কল।

ব্রিটিশ রাজপরিবারের পুত্রবধূ হওয়ার খারাপ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ মা আর শ্বেতাঙ্গ বাবার ঘরে জন্ম নেওয়া মেগান জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অসহায়তাবোধ এবং হতাশা ক্রমেই গ্রাস করেছিল তাকে, সেইসময় আত্মহত্যার চিন্তাও মাথায় এসেছিল তার। বারবার সাহায্য চেয়েও যখন কাউকে পাশে পাননি, তখন নিজের ক্ষতি করার কথা ভাবতে শুরু করেন। চিকিৎসকের পরামর্শ চেয়ে বাকিংহাম প্যালেসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তবে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছিল এটি সম্ভব নয়। কারণ এতে রাজ পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন হতে পারে।

‘দ্য ক্রাউন’ টিভি সিরিজ খ্যাত মেগান বলেন, ‘আমি লজ্জিত ছিলাম হ্যারির কাছেও এই স্বীকারোক্তি করবার জন্য। কিন্তু আমি জানতাম যদিও আমি এই কথা না জানাই তাহলে সত্যি আমি আত্মহত্যা করে বসব। আমি সত্যি সেইসময় আর বাঁচতে চায়নি’।

তিনি জানান, এই যাবতীয় সমস্যার সমাধানের জন্য রাজপরিবারের অন্যতম প্রবীণ এবং ক্ষমতাশালী মানুষের কাছেও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিনিও মেগানের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি।

শীঘ্রই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন মেগান। তাদের দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে, সেকথাও এই অনুষ্ঠানে এসে জানিয়েছেন মেগান-হ্যারি। রাজপরিবারের সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরেই সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে এই দম্পতির। বিস্ফোরক এই সাক্ষাৎকারের পর সেই সম্পর্ক আরও তিক্ত হবে তা বলাই বাহুল্য।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল

আপডেট টাইম : ০৮:২১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রিটিশ রাজপরিবারে বর্ণবৈষম্যের ভয়াবহ অভিযোগ তুলেছেন প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল। তার গায়ের রঙ কালো হওয়ার কারণে সন্তানের গায়ের রঙ কেমন হবে তা নিয়ে রাজপ্রাসাদে আলোচনা চলতো বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তিনি।

রবিবার রাতে সিবিএস চ্যানেলে সম্প্রচারিত জনপ্রিয় মার্কিন সঞ্চালক অপরাহ উইনফ্রেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন অভিযোগ করেন মেগান। খবর রয়টার্সের
মেগানের দাবি, তিনি তখন গর্ভবতী। সেই সময় তার স্বামী প্রিন্স হ্যারিকে ডেকে বলা হয়েছিল, ‘যদি তাদের ছেলের গায়ের রং কালো হয়, তাহলে তাকে রাজকুমার বলে মেনে নেওয়া হবে না’।

বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে এর আগে সরব হয়েছেন বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। কিন্তু ব্রিটেনের রাজপরিবারের অন্দরে গায়ের রঙ নিয়ে এমন অভিযোগে অবাক বিশ্ব।

রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে এখন সাধারণ জীবনযাপন করছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কল।

ব্রিটিশ রাজপরিবারের পুত্রবধূ হওয়ার খারাপ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ মা আর শ্বেতাঙ্গ বাবার ঘরে জন্ম নেওয়া মেগান জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অসহায়তাবোধ এবং হতাশা ক্রমেই গ্রাস করেছিল তাকে, সেইসময় আত্মহত্যার চিন্তাও মাথায় এসেছিল তার। বারবার সাহায্য চেয়েও যখন কাউকে পাশে পাননি, তখন নিজের ক্ষতি করার কথা ভাবতে শুরু করেন। চিকিৎসকের পরামর্শ চেয়ে বাকিংহাম প্যালেসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তবে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছিল এটি সম্ভব নয়। কারণ এতে রাজ পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন হতে পারে।

‘দ্য ক্রাউন’ টিভি সিরিজ খ্যাত মেগান বলেন, ‘আমি লজ্জিত ছিলাম হ্যারির কাছেও এই স্বীকারোক্তি করবার জন্য। কিন্তু আমি জানতাম যদিও আমি এই কথা না জানাই তাহলে সত্যি আমি আত্মহত্যা করে বসব। আমি সত্যি সেইসময় আর বাঁচতে চায়নি’।

তিনি জানান, এই যাবতীয় সমস্যার সমাধানের জন্য রাজপরিবারের অন্যতম প্রবীণ এবং ক্ষমতাশালী মানুষের কাছেও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিনিও মেগানের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি।

শীঘ্রই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন মেগান। তাদের দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে, সেকথাও এই অনুষ্ঠানে এসে জানিয়েছেন মেগান-হ্যারি। রাজপরিবারের সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরেই সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে এই দম্পতির। বিস্ফোরক এই সাক্ষাৎকারের পর সেই সম্পর্ক আরও তিক্ত হবে তা বলাই বাহুল্য।