হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রিটিশ রাজপরিবারে বর্ণবৈষম্যের ভয়াবহ অভিযোগ তুলেছেন প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল। তার গায়ের রঙ কালো হওয়ার কারণে সন্তানের গায়ের রঙ কেমন হবে তা নিয়ে রাজপ্রাসাদে আলোচনা চলতো বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তিনি।
বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে এর আগে সরব হয়েছেন বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। কিন্তু ব্রিটেনের রাজপরিবারের অন্দরে গায়ের রঙ নিয়ে এমন অভিযোগে অবাক বিশ্ব।
রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে এখন সাধারণ জীবনযাপন করছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কল।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের পুত্রবধূ হওয়ার খারাপ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ মা আর শ্বেতাঙ্গ বাবার ঘরে জন্ম নেওয়া মেগান জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অসহায়তাবোধ এবং হতাশা ক্রমেই গ্রাস করেছিল তাকে, সেইসময় আত্মহত্যার চিন্তাও মাথায় এসেছিল তার। বারবার সাহায্য চেয়েও যখন কাউকে পাশে পাননি, তখন নিজের ক্ষতি করার কথা ভাবতে শুরু করেন। চিকিৎসকের পরামর্শ চেয়ে বাকিংহাম প্যালেসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তবে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছিল এটি সম্ভব নয়। কারণ এতে রাজ পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন হতে পারে।
‘দ্য ক্রাউন’ টিভি সিরিজ খ্যাত মেগান বলেন, ‘আমি লজ্জিত ছিলাম হ্যারির কাছেও এই স্বীকারোক্তি করবার জন্য। কিন্তু আমি জানতাম যদিও আমি এই কথা না জানাই তাহলে সত্যি আমি আত্মহত্যা করে বসব। আমি সত্যি সেইসময় আর বাঁচতে চায়নি’।
তিনি জানান, এই যাবতীয় সমস্যার সমাধানের জন্য রাজপরিবারের অন্যতম প্রবীণ এবং ক্ষমতাশালী মানুষের কাছেও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিনিও মেগানের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি।
শীঘ্রই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন মেগান। তাদের দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে, সেকথাও এই অনুষ্ঠানে এসে জানিয়েছেন মেগান-হ্যারি। রাজপরিবারের সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরেই সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে এই দম্পতির। বিস্ফোরক এই সাক্ষাৎকারের পর সেই সম্পর্ক আরও তিক্ত হবে তা বলাই বাহুল্য।