ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রবিবারের ঘটনার পরও থামেনি মিয়ানমারের জণগণ, চলছে বিক্ষোভ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১
  • ১৫৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের একমাস পর গতকাল রবিবারের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিনটি অতিক্রম। পুলিশ ও সেনাদের গুলিতে একদিনে ১৮ জন বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন। তারপরও বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরানো সম্বভ হয়নি। স্বৈরশাসকদের পতনের দাবিতে তারা এখনো অনড়। তাইতো মৃত্যুর ভয় উপেক্ষা করে আজ সোমবারও (১ মার্চ) দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে অংশ গ্রহণ করেছেন।

অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতায় ফেরানোর দাবিতে রবিবারের বিক্ষোভে মিয়ানমারজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলির ছুড়েও বিক্ষোভ দমনে ব্যর্থ হয়ে দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি ছোড়া শুরু করলে ভয়াবহ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে ভয়াবহ সহিংসতায় অন্তত ১৮ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক দফতর। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নিহতদের সবাই পুলিশের গুলি, গ্রেনেড ও টিয়ার শেলের আঘাতে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নিরাপত্তা বাহিনীর নজিরবিহীন দমন-পীড়ন ও গণ-গ্রেফতার গ্রহণযোগ্য নয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, রবিবার ইয়াঙ্গুনের যে গোলচত্বরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়, সোমবার সেখানেই পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর দশটি গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশটির উত্তরপশ্চিমের কালে শহরে সোমবারও বিক্ষোভকারীরা সু চির ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বলে জানা ঘেছে। এ সময় তাদের ঘিরে টহল দিয়েছে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী। শান রাজ্যের লাশেও শহরে বিক্ষোভকারীদের ছোট একটি দল স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় পুলিশকে তাদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিক্ষোভকারীরা এখনো বেশ সরব। এক তরুণী অ্যাক্টিভিস্ট ফেসবুকে প্রাণহানির প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘আমি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিচ্ছি।’

ফেসবুকে আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা ই থিনজার মং বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর এক মাস পার হয়ে গেল। গতকাল গুলি করে তারা আমাদের দমাতে চেয়েছে। আমরা আজ আবারও রাস্তায় নামবো।’ মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভকারীদের; বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের মনে জান্তাবিরোধী ক্ষোভের আগুন আরও দ্বিগুণ হয়েছে।

 

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রবিবারের ঘটনার পরও থামেনি মিয়ানমারের জণগণ, চলছে বিক্ষোভ

আপডেট টাইম : ০৭:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের একমাস পর গতকাল রবিবারের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিনটি অতিক্রম। পুলিশ ও সেনাদের গুলিতে একদিনে ১৮ জন বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন। তারপরও বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরানো সম্বভ হয়নি। স্বৈরশাসকদের পতনের দাবিতে তারা এখনো অনড়। তাইতো মৃত্যুর ভয় উপেক্ষা করে আজ সোমবারও (১ মার্চ) দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে অংশ গ্রহণ করেছেন।

অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতায় ফেরানোর দাবিতে রবিবারের বিক্ষোভে মিয়ানমারজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলির ছুড়েও বিক্ষোভ দমনে ব্যর্থ হয়ে দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি ছোড়া শুরু করলে ভয়াবহ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে ভয়াবহ সহিংসতায় অন্তত ১৮ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক দফতর। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নিহতদের সবাই পুলিশের গুলি, গ্রেনেড ও টিয়ার শেলের আঘাতে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নিরাপত্তা বাহিনীর নজিরবিহীন দমন-পীড়ন ও গণ-গ্রেফতার গ্রহণযোগ্য নয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, রবিবার ইয়াঙ্গুনের যে গোলচত্বরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়, সোমবার সেখানেই পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর দশটি গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশটির উত্তরপশ্চিমের কালে শহরে সোমবারও বিক্ষোভকারীরা সু চির ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বলে জানা ঘেছে। এ সময় তাদের ঘিরে টহল দিয়েছে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী। শান রাজ্যের লাশেও শহরে বিক্ষোভকারীদের ছোট একটি দল স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় পুলিশকে তাদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিক্ষোভকারীরা এখনো বেশ সরব। এক তরুণী অ্যাক্টিভিস্ট ফেসবুকে প্রাণহানির প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘আমি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিচ্ছি।’

ফেসবুকে আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা ই থিনজার মং বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর এক মাস পার হয়ে গেল। গতকাল গুলি করে তারা আমাদের দমাতে চেয়েছে। আমরা আজ আবারও রাস্তায় নামবো।’ মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভকারীদের; বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের মনে জান্তাবিরোধী ক্ষোভের আগুন আরও দ্বিগুণ হয়েছে।