হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চলন্ত ট্রেন থেকে ছিনতাইকারী ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার সময় নিচে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন এক নারী যাত্রী। এ সময় তার সঙ্গে থাকা শিশু সন্তান ট্রেনের ভেতরে ছিল।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার কিছু পরে ভৈরব রেলস্টেশন জংশনে এই ঘটনাটি ঘটে।
পরে মুমূর্ষু অবস্থায় আহত নারীকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। ওই নারী যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত নারীর বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
একাধিক সূত্র জানায়, চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয় বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টায়।
ছয় বছর বয়সী শিশুসন্তানকে নিয়ে ভৈরব স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন এক নারী। পাঁচ মিনিট পর ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যায়।
সন্তান নিয়ে ভিড় ঠেলে তখনো ওই নারী কামরার ভেতরে পৌঁছাতে পারেননি। তাঁর হাতে ছিল একটি ব্যাগ।
প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনটি ১০০ গজ সামনে যেতেই ওই নারীর ব্যাগ ধরে এক ছিনতাইকারী টান দেয়। এতে চলন্ত ট্রেন থেকে ওই নারী ছিটকে লাইনের পাশে পড়ে যান।
মা ছিটকে পড়লেও শিশুটি ট্রেনের ভেতরেই ছিল। পরে শিশুটিকে বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
বিমানবন্দর পুলিশকে শিশুটি জানিয়েছে, তার নাম মেরাজ। বাবা মিলন মিয়া। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার চান্দুপুর গ্রামে।
নিজের ও বাবার নাম বলতে পারলেও শিশুটি মায়ের নাম জানাতে পারেনি।
ভৈরবের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ট্রেনটির যাত্রী ছিলেন। ট্রেনটি ধীর গতিতেই চলছিল। একজন ছিনতাইকারী ব্যাগটি ধরে টান দিতেই ওই নারী পড়ে যান।
তিনি বলেন, পরে আমরা শিশুটিকে সঙ্গে রাখি এবং ঘটনাটি ভৈরবের কয়েকজনকে জানিয়ে ছিটকে পড়া নারীকে সহযোগিতার অনুরোধ জানাই।
লাইন থেকে ওই নারী অন্তত দুই গজ দূরে পড়ে ছিলেন। তখন জ্ঞান ছিল না।
রেললাইনের পাশে পড়ে থাকতে দেখে কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি আহত নারীকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত নিয়ে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর ওই নারীকে চিকিৎসা দেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল নোমান ভূইয়া। তিনি বলেন, ওই নারী মাথায় আঘাত পেয়েছেন। ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল এবং বমিও করেছেন। সব মিলিয়ে আহত নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, শিশুটি এখন বিমানবন্দর পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আহত নারীর নাম এখনো জানা যায়নি।