ঢাকা ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়ছে শীতের দরিদ্রদের কষ্ট-দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৪:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৫১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মধ্য-মাঘে এসে প্রায় সারাদেশে তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। সেই সাথে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমা কনকনে হিমেল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। মাঝরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ছে দেশের অধিকাংশ জেলায়। বাড়ছে শীতের কামড়। দরিদ্রদের কষ্ট-দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। ঘন কুয়াশায় সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে ব্যাহত।

গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিস্ন তাপমাত্রা ছিল উত্তর জনপদের কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে ৯ এবং সর্বোচ্চ টেকনাফে ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৩.৮ এবং সর্বনিস্ন ১১.৯, চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ২৫.২ এবং সর্বনিস্ন ১৪.১ ডিগ্রি সে.। প্রায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও রাতের পারদ ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।

দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে গতকাল ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কি.মি. বেগে হিমেল হাওয়া বইছে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য রয়েছে। ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা বা জলীয়বাষ্পের হার ছিল গতকাল সকালে ৯৭ শতাংশ ও সন্ধ্যায় ৮৪ শতাংশ।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা হ্রাস এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ায় তেমন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বর্তমানে উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ।

এদিকে বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য, মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার সাথে ভাসমান ধুলোবালি ও ধোঁয়ায় বায়ুদূষণের মাত্রা গুরুতর অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে বিরাজ করছে। আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়াল আইকিউ-এয়ারের তথ্য মতে, গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় বায়ুমানের সূচক (একিউআই) সূচক ও বায়ুদূষণের (পিএম ২.৫) মানমাত্রা ছিল ২৩৭। যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। বিশে^র সর্বাপেক্ষা বায়ুদূষিত নগরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এ ধরনের ব্যাপক বায়ুদূষণের কারণে সর্দি-কাশি-জ¦র, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, সাইনাস, ফুসফুস, স্নায়ুবিক জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান : কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। তাপমাত্রা কমা বাড়া হলেও সারা মাস জুড়ে কমবেশী কুয়াশা থাকবে বলে জানায় আবহাওয়া বিভাগ।
দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্য ঢেকে থাকছে ঘন কুয়াশার মেঘে। রাতভর ঘন কুয়াশা বৃষ্টিরমত ঝমঝম করে পড়ছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা বের হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে দিন মজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়েছেন। জেলার হাসপাতালগুলোতে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশী। কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, জেলায় হাসপাতাল গুলোতে ৩৫জন ডায়রিয়ায় এবং ১৮জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের মাঝে ঠান্ডার প্রকোপ বেশী পড়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাড়ছে শীতের দরিদ্রদের কষ্ট-দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে

আপডেট টাইম : ০৯:৫৪:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মধ্য-মাঘে এসে প্রায় সারাদেশে তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। সেই সাথে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমা কনকনে হিমেল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। মাঝরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ছে দেশের অধিকাংশ জেলায়। বাড়ছে শীতের কামড়। দরিদ্রদের কষ্ট-দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। ঘন কুয়াশায় সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে ব্যাহত।

গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিস্ন তাপমাত্রা ছিল উত্তর জনপদের কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে ৯ এবং সর্বোচ্চ টেকনাফে ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৩.৮ এবং সর্বনিস্ন ১১.৯, চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ২৫.২ এবং সর্বনিস্ন ১৪.১ ডিগ্রি সে.। প্রায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও রাতের পারদ ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।

দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে গতকাল ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কি.মি. বেগে হিমেল হাওয়া বইছে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য রয়েছে। ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা বা জলীয়বাষ্পের হার ছিল গতকাল সকালে ৯৭ শতাংশ ও সন্ধ্যায় ৮৪ শতাংশ।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা হ্রাস এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ায় তেমন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বর্তমানে উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ।

এদিকে বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য, মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার সাথে ভাসমান ধুলোবালি ও ধোঁয়ায় বায়ুদূষণের মাত্রা গুরুতর অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে বিরাজ করছে। আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়াল আইকিউ-এয়ারের তথ্য মতে, গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় বায়ুমানের সূচক (একিউআই) সূচক ও বায়ুদূষণের (পিএম ২.৫) মানমাত্রা ছিল ২৩৭। যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। বিশে^র সর্বাপেক্ষা বায়ুদূষিত নগরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এ ধরনের ব্যাপক বায়ুদূষণের কারণে সর্দি-কাশি-জ¦র, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, সাইনাস, ফুসফুস, স্নায়ুবিক জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান : কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। তাপমাত্রা কমা বাড়া হলেও সারা মাস জুড়ে কমবেশী কুয়াশা থাকবে বলে জানায় আবহাওয়া বিভাগ।
দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্য ঢেকে থাকছে ঘন কুয়াশার মেঘে। রাতভর ঘন কুয়াশা বৃষ্টিরমত ঝমঝম করে পড়ছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা বের হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে দিন মজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়েছেন। জেলার হাসপাতালগুলোতে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশী। কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, জেলায় হাসপাতাল গুলোতে ৩৫জন ডায়রিয়ায় এবং ১৮জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের মাঝে ঠান্ডার প্রকোপ বেশী পড়েছে।