ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের ৯৮ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়: প্রতিমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০
  • ২৩৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্জনগুলো প্রকাশিত হলে দেশের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে আরো উজ্জ্বল হবে। বিদেশিরা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হবে। এখন পর্যন্ত ৯৮ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। চলমান মুজিববর্ষেই গ্রিড এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে।

শনিবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পাক্ষিক পত্রিকা এনার্জি এন্ড পাওয়ার ‘পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র: সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের উদাহরণ’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, লক্ষ্য স্থির রেখে একাগ্রচিত্তে নেতৃত্ব দিতে পারলে সাফল্য আসবেই। বিদ্যুৎ খাত তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। নতুন প্রজন্মদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পায়রা প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এসব দেখে তারা বাংলাদেশ নিয়ে আরো বড় আকারে চিন্তা করবে। তিনি জানান, ১৬টি প্রকল্পের আওতায় কয়লাভিত্তিক ১৫ হাজার ৭৫২ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মওলা হেলাল। তিনি জানান, বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিউউপিজিসিবি) এবং চায়না মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসিএল) গঠিত হয়। কোম্পানিটি পটুয়াখালীতে পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প শুরু করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ বিসিপিসিএল এবং এনইপিসি ও সিইসিসি, চায়না-এর কনসোর্টিয়ামের মধ্যে ইপিসি (ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট এবং কন্সট্রাকশন) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট এবং সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় ইউনিট সিনক্রোনাইজড করা হয়। এ বছরের নভেম্বরের মধ্যে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন (সিওডি- কমার্শিয়াল ওপেনিং ডেট) সম্পূর্ণরূপে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এনার্জি এন্ড পাওয়ার পত্রিকার সম্পাদক মোল্লাহ মো. আমজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরোজ আলম, বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক কাজী বায়োজিত কবির ও নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশের ৯৮ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়: প্রতিমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:৫২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্জনগুলো প্রকাশিত হলে দেশের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে আরো উজ্জ্বল হবে। বিদেশিরা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হবে। এখন পর্যন্ত ৯৮ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। চলমান মুজিববর্ষেই গ্রিড এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে।

শনিবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পাক্ষিক পত্রিকা এনার্জি এন্ড পাওয়ার ‘পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র: সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের উদাহরণ’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, লক্ষ্য স্থির রেখে একাগ্রচিত্তে নেতৃত্ব দিতে পারলে সাফল্য আসবেই। বিদ্যুৎ খাত তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। নতুন প্রজন্মদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পায়রা প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এসব দেখে তারা বাংলাদেশ নিয়ে আরো বড় আকারে চিন্তা করবে। তিনি জানান, ১৬টি প্রকল্পের আওতায় কয়লাভিত্তিক ১৫ হাজার ৭৫২ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মওলা হেলাল। তিনি জানান, বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিউউপিজিসিবি) এবং চায়না মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসিএল) গঠিত হয়। কোম্পানিটি পটুয়াখালীতে পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প শুরু করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ বিসিপিসিএল এবং এনইপিসি ও সিইসিসি, চায়না-এর কনসোর্টিয়ামের মধ্যে ইপিসি (ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট এবং কন্সট্রাকশন) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট এবং সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় ইউনিট সিনক্রোনাইজড করা হয়। এ বছরের নভেম্বরের মধ্যে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন (সিওডি- কমার্শিয়াল ওপেনিং ডেট) সম্পূর্ণরূপে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এনার্জি এন্ড পাওয়ার পত্রিকার সম্পাদক মোল্লাহ মো. আমজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরোজ আলম, বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক কাজী বায়োজিত কবির ও নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম।