হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইন্টারনেটে নারীদের যৌন হেনস্তা একটি মারাত্মক সমস্যা বিবেচনা করে অল্প বয়সী মেয়েদের অভিজ্ঞতার কথা শুনে নিরাপত্তা বাড়াবে ফেসবুক।
রোববার ‘ইন্টারন্যাশনাল গার্ল ডে’ উপলক্ষ্যে এমন তথ্য জানিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিটি।
ফেসবুক জানায়, বেশ কয়েকটি সেশনের মাধ্যমে তরুণ সমাজকর্মীদের অভিজ্ঞতার কথা শুনবে কর্তৃপক্ষ। এ আলোচনার মাধ্যমে অল্প বয়সী মেয়েরা তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে পারবে। এতে নিরাপত্তার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে।
ফেসবুকের নারী সুরক্ষা বিভাগের প্রধান সিন্ডি সাউথওয়ার্থ বলেন, মেয়েদের সরাসরি আলোচনার বিষয়টি সব সময় গুরুত্ব দেই আমরা। কারণ ইন্টারনেটে নারীদের হেনস্তা একটি মারাত্মক সমস্যা। এরইমধ্যে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি।
ফেসবুকে মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টি সব সময় আলোচনায় থাকে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের জরিপ অনুযায়ী, ১৪ হাজার তরুণীর ৫৮ শতাংশ ফেসবুকে হেনস্তার শিকার হন। ওই জরিপে ২২ দেশের মেয়েরা অংশ নেয়।
অনলাইনে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। কারণ এটা দ্রুত অনেকের কাছে পৌঁছে গিয়ে অনির্দিষ্টকাল ধরে বিদ্যমান থাকতে পারে।
ইউনিসেফের তথ্যানুযায়ী, অন্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনলাইনে থাকা শিক্ষার্থীরা ভয়ভীতির শিকার হয় বেশি। তাদের অ্যালকোহল ও মাদকে আসক্ত হওয়া ও স্কুল ফাঁকি দেয়ার হারও বেশি। এছাড়া তাদের পরীক্ষায় ফল খারাপ করা, আত্ম-সম্মান কমে যাওয়া ও স্বাস্থ্যগত সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে। চরম পরিস্থিতিতে অনলাইনে ভয়ভীতি প্রদর্শন যে কাউকে আত্মহত্যার পথেও ঠেলে দিতে পারে।