যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বাস করেন ম্যাকি কারিন। সম্প্রতি বিশ্বের দীর্ঘতম পা থাকার জন্যে গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে নাম উঠে এসেছে এই কিশোরীর। সবচেয়ে লম্বা পায়ের জন্য গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছেন তিনি।
বিশ্বে বিভিন্ন কারণে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে প্রতিনিয়ত অনেকের নাম উঠছে। এবার এতে যোগ হলেন আমেরিকার টেক্সাসের কিশোরী ম্যাসি কিউরিন।
প্রথম দেখাতেই ১৭ বছর বয়সী কিউরিনের লম্বা পায়ের বিষটি সবার নজরে পড়বে। সাধারণত মেয়েদের পায়ের গড় দৈর্ঘ্য ৮১ থেকে ৮৬ সেন্টিমিটার। সেখানে তার দেড়গুণেরও বেশি। ৬ ফুট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার এই কিশোরীর বাম পায়ের দৈর্ঘ্য ১৩৫.২৬৭ সেন্টিমিটার। অন্যদিকে ডান পায়ের দৈর্ঘ্য ১৩৪.৩ সেন্টিমিটার।
বিশাল আকৃতির এই পা নিয়ে সবসময়ই বিড়ম্বনায় পড়েন কিউরিন। দরজা দিয়ে বের হওয়া, গাড়িতে চড়া থেকে শুরু করে পোশাক কিনতে গেলেও ভোগান্তি পোহাতে হয় তাকে। এছাড়া লোকের বাঁকা চোখে তাকানোর বিষয়টি তো রয়েছেই। তবে স্কুলের ভলিবল টিমে খেলার সময় বিশেষ সুবিধা পান তিনি।
এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন রাশিয়ার একাতেরিনা লিসিনা। ৬ ফুট ৮.৭৭ ইঞ্চি উচ্চার এই তরুণীর বাম ও ডান পায়ের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ১৩২.৮ ও ১৩২.২ সেন্টিমিটার।
গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে নাম লিখিয়ে খুশি ক্যানি। তবে লম্বা পা থাকার সুবিধা ও অসুবিধা দু’টোই রয়েছে বলে মনে করে সে।
২০১৮ সালে সে প্রথম বুঝতে পারে তার পা অন্যান্য সবার তুলনায় অনেকটাই বড়। তার পরই গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে আবেদনের কথা ভাবেন। এরিমধ্যেই টিকটকে বেশ জনপ্রিয় ম্যাকি। ম্যাসি কিউরিন মডেল হতে চান। সবচেয়ে লম্বা মডেলের খেতাবটাও নিজের করে নিতে চান তিনি।
তার মতো যারা একটু অস্বাভাবিক লম্বা তাদেরও বিষয়টি মেনে নিতে বলেন কিউরিন। পাশাপাশি তার এই গিনেস খেতাব অন্যদের উৎসাহ জোগাবে বলে আশাবাদী তিনি।