ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যখন আমিন বললেই গোনাহ মাফ হয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ২১৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জামাআতে নামাজ পড়ার সময় ইমাম যখন সুরা ফাতেহা শেষ করবেন তখন মুসল্লিদের ‘আমিন’ বলা সুন্নাত। এটি হাদিসে নির্দেশিত অন্যতম আমলও বটে। কেননা নামাজের জামাআতে ইমামের সুরা ফাতেহা পড়া শেষ হলে মুসল্লিদের মতো ফেরেশতারাও ‘আমিন’ বলেন।

এ সময় যে ব্যক্তি নামাজের জামাআতে সুরা ফাতেহা শেষ হলে সুন্নাত আদায় করতে গিয়ে ‘আমিন’ বলবে, আর যদি মুসল্লির ‘আমিন’ বলা ফেরেশতাদের ‘আমিন’ বলার সঙ্গে মিলে যায় তবে তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। একাধিক হাসি থেকে গোনাহ মাফের বিষয়টি প্রমাণিত।

– হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেনরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনযখন ইমাম বলবে- غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ‘ তখন তোমরা বলবে- آمِينَ‘ অর্থাৎ আল্লাহ আপনি কবূল করুন। যার পড়া ফেরেশতাদের পড়ার সময় হবেতার আগের গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।‘ (বুখারি ও মুসলিম)

– হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ইমাম যখন ‘আমিন’ বলেন, তখন তোমরাও ‘আমিন’ বলো। কেননা, যার ‘আমিন’ (বলা) ও ফেরেশতার ‘আমিন’ (বলা) এক হয়; তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।’ (বুখারি, মুসলিম)

‘আমিন’ বলা প্রসঙ্গে ইব্‌নু শিহাব রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও ‘আমিন’ বলতেন।’

– হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেনআল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‌’ইমাম غَيرِ المَغضوُبِ عَلَيهِم وَلاَ الضّاَلّين‘ পড়লে তোমরা ‘আমিন’ বলো। কেননাযার এ (আমিন) বলা মালাক (ফেরেশতা) গণের (আমিন) বলার সঙ্গে একই সময় হয়তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।‘ (বুখারিমুসলিম)

মুমিন মুসলমানের উচিত, জামাআতে নামাজ পড়ার সময় ইমামের সুরা ফাতেহা শেষ হলে ‘আমিন’ বলার আমলটি যথাযথভাবে পালন করা। নিজেদের বিগত জীবনের সব গোনাহ থেকে মুক্তি লাভে নামাজের জামাআতে অংশ গ্রহণ করা। জামাআতে নামাজ পড়ার সময় ইমামের সুরা ফাতেহা পড়া শেষ হলে ‘আমিন’ বলা। তাতে বিগত জীবনের গোনাহ থেকে মুক্তি পাবে মুমিন।

সুতরাং উপরের হাদিসগুলো থেকে প্রমাণিত যে, জামাআতে নামাজ আদায়ের সময় ইমামের সুরা ফাতেহা পড়া শেষ করার পর মুক্তাদি পূর্ণ মনোযোগ, ভয় ও একনিষ্ঠতার সঙ্গে আমিন বললে আর সে ‘আমিন’ বলা ফেরেশতাদের সঙ্গে মিলে গেলে তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। এমনকি যদি কোনো ‘আমিন’ বলা ব্যক্তির আমলনামায় ছোট গোনাহ না থাকে তবে আশা করা যায় যে, তার (যদি) কবিরা বা বড় গোনাহ (থাকে তবে তা) হালকা করে দেয়া হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জামাআতে নামাজ পড়ার তাওফিক দিন। ইমামের সুরা ফাতিহা পড়া শেষ হওয়ার পর ‘আমিন’ বলার মাধ্যমে নিজেদের গোনাহ থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দিন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দিন। আমিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যখন আমিন বললেই গোনাহ মাফ হয়

আপডেট টাইম : ০৬:৫০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জামাআতে নামাজ পড়ার সময় ইমাম যখন সুরা ফাতেহা শেষ করবেন তখন মুসল্লিদের ‘আমিন’ বলা সুন্নাত। এটি হাদিসে নির্দেশিত অন্যতম আমলও বটে। কেননা নামাজের জামাআতে ইমামের সুরা ফাতেহা পড়া শেষ হলে মুসল্লিদের মতো ফেরেশতারাও ‘আমিন’ বলেন।

এ সময় যে ব্যক্তি নামাজের জামাআতে সুরা ফাতেহা শেষ হলে সুন্নাত আদায় করতে গিয়ে ‘আমিন’ বলবে, আর যদি মুসল্লির ‘আমিন’ বলা ফেরেশতাদের ‘আমিন’ বলার সঙ্গে মিলে যায় তবে তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। একাধিক হাসি থেকে গোনাহ মাফের বিষয়টি প্রমাণিত।

– হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেনরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনযখন ইমাম বলবে- غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ‘ তখন তোমরা বলবে- آمِينَ‘ অর্থাৎ আল্লাহ আপনি কবূল করুন। যার পড়া ফেরেশতাদের পড়ার সময় হবেতার আগের গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।‘ (বুখারি ও মুসলিম)

– হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ইমাম যখন ‘আমিন’ বলেন, তখন তোমরাও ‘আমিন’ বলো। কেননা, যার ‘আমিন’ (বলা) ও ফেরেশতার ‘আমিন’ (বলা) এক হয়; তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।’ (বুখারি, মুসলিম)

‘আমিন’ বলা প্রসঙ্গে ইব্‌নু শিহাব রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও ‘আমিন’ বলতেন।’

– হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেনআল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‌’ইমাম غَيرِ المَغضوُبِ عَلَيهِم وَلاَ الضّاَلّين‘ পড়লে তোমরা ‘আমিন’ বলো। কেননাযার এ (আমিন) বলা মালাক (ফেরেশতা) গণের (আমিন) বলার সঙ্গে একই সময় হয়তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।‘ (বুখারিমুসলিম)

মুমিন মুসলমানের উচিত, জামাআতে নামাজ পড়ার সময় ইমামের সুরা ফাতেহা শেষ হলে ‘আমিন’ বলার আমলটি যথাযথভাবে পালন করা। নিজেদের বিগত জীবনের সব গোনাহ থেকে মুক্তি লাভে নামাজের জামাআতে অংশ গ্রহণ করা। জামাআতে নামাজ পড়ার সময় ইমামের সুরা ফাতেহা পড়া শেষ হলে ‘আমিন’ বলা। তাতে বিগত জীবনের গোনাহ থেকে মুক্তি পাবে মুমিন।

সুতরাং উপরের হাদিসগুলো থেকে প্রমাণিত যে, জামাআতে নামাজ আদায়ের সময় ইমামের সুরা ফাতেহা পড়া শেষ করার পর মুক্তাদি পূর্ণ মনোযোগ, ভয় ও একনিষ্ঠতার সঙ্গে আমিন বললে আর সে ‘আমিন’ বলা ফেরেশতাদের সঙ্গে মিলে গেলে তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। এমনকি যদি কোনো ‘আমিন’ বলা ব্যক্তির আমলনামায় ছোট গোনাহ না থাকে তবে আশা করা যায় যে, তার (যদি) কবিরা বা বড় গোনাহ (থাকে তবে তা) হালকা করে দেয়া হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জামাআতে নামাজ পড়ার তাওফিক দিন। ইমামের সুরা ফাতিহা পড়া শেষ হওয়ার পর ‘আমিন’ বলার মাধ্যমে নিজেদের গোনাহ থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দিন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দিন। আমিন।