হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতে একদিনেই রেকর্ড ৯৭ হাজার ৫৭০ জনের দেহে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। টানা এক মাস ধরে দেশটিতে প্রতিদিনই বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। জানুয়ারিতে প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়ার পর থেকে শনিবার পর্যন্ত ভারতে মোট ৪৬ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হল।
আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৬ লাখ ২৪ হাজার ১৯৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮১ হাজার ৫৩৩ জন।
করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। এরপরই রয়েছে যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, তেলেঙ্গানা, উড়িষ্যা, আসাম ও গুজরাট। শনাক্ত রোগী সংখ্যায় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতে করোনাভাইরাসে মৃত্যু কেবল ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েই কম।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯৭ হাজার ৫৭০ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৭ হাজার ১৫৪ ও ২৩ হাজার ৮৬৪ জন। গত এক মাস ধরেই ওই দু’টি দেশের তুলনায় ভারতের নতুন সংক্রমণ অনেক বেশি সংখ্যায় হচ্ছে। গত কয়েক দিনে তা দুই থেকে তিন গুণ হয়ে গিয়েছে ।
সাড়ে ৯৭ হাজার বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪৬ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৪৮ জন। প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকায় মোট আক্রান্ত ৬৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ও তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত ৪২ লক্ষ ৩৮ হাজার।
মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্নাটক— দৈনিক আক্রান্ত বৃদ্ধিতে দেশের মধ্যে এগিয়ে এই তিনটি রাজ্য। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন সংক্রমণ সাড়ে ২৪ হাজারের বেশি। যার জেরে সেখানকার মোট আক্রান্ত ১০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে প্রায় ১০ হাজার ও কর্নাটকে সাড়ে ৯ হাজার নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশেও দৈনিক আক্রান্ত বিগত কয়েক দিন ধরে সাড়ে ছ’হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। আজ তা ৭ হাজার ছুঁয়েছে। দৈনিক সংক্রমণে নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশের রাজধানী। জুলাইয়ের শেষ ও অগস্টে সেখানে দৈনিক সংক্রমণ কমে এক হাজারের ঘরে নেমেছিল। গত ক’দিন ধরেই তা বেড়ে চার হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যা এই করোনাকালে প্রথম বার হল। পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে নতুন সংক্রমণ একই হারে হলেও তেলঙ্গানা, অসম, ওড়িশার দৈনিক নতুন সংক্রমণ কপালে ভাঁজ ফেলার জন্য যথেষ্ট। কেরল, হরিয়ানা, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়েও আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।