হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনা নিয়ে অসতর্কতা ও গা-ছাড়া ভাব আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চট্টগ্রামে। রাস্তাঘাট, গণপরিবহন ও শপিংমলসহ কোন জায়গাতেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সিভিল সার্জনের আশংকা, অবহেলায় সেপ্টেম্বরে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসলে বাড়তে পারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার।
থেমে নেই চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। তারপরও মাস্ক নেই কারো মুখে। নেই স্বাস্থ্যবিধির মানার তোয়াক্কা। চলাফেরায় সামাজিক দূরত্ব না মানার দৃশ্য সব যায়গায়।
মার্কেটেও একই অবস্থা। দর্জির দোকানে মাস্ক ছাড়া গাদাগাদি করে কাজ করছে ৫ থেকে ৬ জন। খাবারের দোকানেও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব।
এদিকে ভ্যাকসিন বাজারে না আসা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বিকল্প নেই বলে জানান চিকিৎসকরা।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সহকারি সার্জন মো. মোরশেদ আলী বলেন, যার যার অবস্থান থেকে আমরা সচেতন হই, তাহলে মৃত্যুকে আমরা এড়াতে পারি।
সিভিল সার্জন বলছেন, মৃত্যু ও আক্রান্ত জুনে সর্বোচ্চের পর আগস্টে কমেছে। সেপ্টেম্বরে আসতে পারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এখন থেকে সতর্ক না হলে আবার বাড়বে সংক্রমণ।
সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, যেখানে চীন-ইতালিতে কমে গিয়েছিল, সেখানে আবার দ্বিতীয়বার হয়েছে। বাংলাদেশেও আবার একটা দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে যা সেপ্টেম্বর থেকে শীত পর্যন্ত যেকোন সময় আসতে পারে।
এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয় সাড়ে ১৬ হাজার। এর মধ্যে আড়াইশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।