হাওর বার্তা ডেস্কঃ রংপুরে দুই দফা বন্যায় তিন উপজেলায় ১২৯টি পুকুরের ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার মাছ ভেসে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জেলার গংগাচড়া উপজেলায়। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মাছ চাষি সরকারি প্রণোদনা না পেলে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তারা। সবথেকে বেশি বিপদে রয়েছেন ব্যাংক ঋণ নিয়ে খামার করা মৌসুমি মাছ চাষিরা
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় গংগাচড়ায় ৪৮টি পুকুরের ৪ দশমিক ৬২ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। যার মূল্য মৎস্য বিভাগ নির্ধারণ করেছে ৭ লাখ দুই হাজার টাকা। একইসঙ্গে অবকাঠামোগত ক্ষতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সব মিলে ওই উপজেলায় ক্ষতি হয়েছে ৮ লাখ ৬ হাজার টাকা।
একইভাবে কাউনিয়া উপজেলায় ৪৩টি পুকুরের ৪ দশমিক ১৩ মেট্রিকটন মাছ ভেসে গেছে। সব মিলিয়ে ক্ষতি ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯ হাজার টাকা। আর পীরগাছা উপজেলায় ৩৮টি পুকুরের ৩ দশমিক ৮৫ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। মোট ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
জেলা মৎস অফিস জানিয়েছে, এই বন্যায় জেলায় ১২৯টি পুকুরের ১২ দশমিক ৬ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার দেউতি সুন্দর গ্রামের মাছ চাষি তৈয়বুর রহমান তুষার জানান, বন্যায় তার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। প্রতি কোরবানির ঈদে তিনি প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেন। কিন্তু এবার এক টাকাও মাছ বিক্রি করতে পারেননি।
তিনি বলেন, ব্যাংক ঋণ করে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাছ চাষ করেছি। এর মধ্যে বেশিরভাগ মাছই পানিতে ভেসে গেছে। সরকার প্রণোদনা না দিলে ব্যাংক ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়।
একই কথা বলেন গংগা চড়া উপজেলার নোহালি ইউনিয়নের সমশের আলী। তিনি বলেন, মাছের খামার দিয়েই স্বপ্ন দেখছিলাম। কিন্তু সেই স্বপ্ন তছনছ হয়ে গেছে বন্যায়।
রংপুর জেলা মৎস কর্মকর্তা বরুণ চন্দ্র বিশ্বাস ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করেছি।