ঢাকা ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামির আশঙ্কা জাগিয়ে উপকূলে উঠে এল সেই দৈত্যাকার মাছ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০
  • ১৭৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আবার প্রবল কম্পন আর সুনামিতে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সময় আসন্ন? এত বছর পর ২০১১ সালে জাপানের সুনামির স্মৃতি উসকে দিল মেক্সিকো উপকূলে ধরা পড়া দৈত্যাকার মাছ, যা ‘ভূমিকম্পের মাছ’ বলে পরিচিত। আর তারপরই এই আশঙ্কায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।মধ্যে আবারও কি তেমন বিপর্যয়ের দিন ঘনিয়ে এল? প্রশ্নের উত্তর খুজে বেড়াচ্ছেন তারা।

কিন্তু কী এমন সেই মাছ, যা দেখে এতটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল? ১৩ ফুট লম্বা মাছটি আসলে ‘ওর ফিশ’। সামুদ্রিক মাছ। মুখটা অনেকটা হাঙরের মতো। গায়ের রং রুপালি। উপকূলে খুব একটা দেখা যায় না। আর সে কারণেই বোধহয় সমুদ্রসৈকতে এর আবির্ভাব অশনি সংকেত বলে ধরে নেওয়া হয়। যেমন, ২০১১ সালের মার্চ মাসে জাপানে ভয়াবহ কম্পন আর সুনামির আগে নাকি সৈকতে দেখা গিয়েছিল ওর ফিশ। তারপর থেকেই তার নাম হয়ে যায় ‘ভূমিকম্পের মাছ’।

সেই বিপর্যয়ের কথা এখনও ভুলতে পারেননি অনেকেই। রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রা ভূমিকম্প আর তার হাত ধরে আসা সুনামি, সমুদ্রের ৪০ মিটার উচ্চতার ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল অনেকগুলো দ্বীপ। নিমেষের মধ্যে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সংখ্যাটা ১০ হাজার ছুঁইছুঁই। আর এই সমুদ্র দানবের হাত ধরে ফুকুশিমা পরমাণু প্রকল্পেও ঘনিয়েছিল বিপদ। নিউক্লিয়ার চুল্লি ফুটা হয়ে সেখান থেকে বিষাক্ত পারমাণবিক গ্যাস বেরিয়ে সংলগ্ন এলাকাকে কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে। এই বিষাক্ত গ্যাসেও কম মানুষের মৃত্যু হয়নি।

২০১১ সালের বিপর্যয় সামলাতে অনেকটা সময় লেগেছিল জাপানের। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিকাঠামোয় অনেক বদলই এনেছিল প্রযুক্তিতে অনেকটা এগিয়ে থাকা এই দ্বীপ দেশ। ৯ বছর পর ফের সেই স্মৃতিই উসকে দিল মেক্সিকো উপকূলে ধরা পড়া ওর ফিশ। ফার্নান্দো কেভালিন ও ডেভিড জাবেদোরস্কি নামে দুই যুবক মাছটিকে আবিষ্কার করে সৈকতের একেবারে ধারে। এত লম্বা মাছ, দু’জনে দু’দিকে ধরে তারা ছবিও তোলেন। তারপর তাকে সমুদ্রে ছেড়ে দেন ফার্নান্দো ও ডেভিড। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ছড়িয়েছে ত্রাস। তবে ফার্নান্দোর মতে, এই মাছ নাকি প্রোটিনে পরিপূর্ণ। অন্যান্য অঙ্গও বেশ কার্যকরী। তা সত্ত্বেও এই মাছের আবির্ভাব অশুভ বলেই মনে করে স্থানীয় মানুষ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সুনামির আশঙ্কা জাগিয়ে উপকূলে উঠে এল সেই দৈত্যাকার মাছ

আপডেট টাইম : ০৪:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আবার প্রবল কম্পন আর সুনামিতে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সময় আসন্ন? এত বছর পর ২০১১ সালে জাপানের সুনামির স্মৃতি উসকে দিল মেক্সিকো উপকূলে ধরা পড়া দৈত্যাকার মাছ, যা ‘ভূমিকম্পের মাছ’ বলে পরিচিত। আর তারপরই এই আশঙ্কায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।মধ্যে আবারও কি তেমন বিপর্যয়ের দিন ঘনিয়ে এল? প্রশ্নের উত্তর খুজে বেড়াচ্ছেন তারা।

কিন্তু কী এমন সেই মাছ, যা দেখে এতটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল? ১৩ ফুট লম্বা মাছটি আসলে ‘ওর ফিশ’। সামুদ্রিক মাছ। মুখটা অনেকটা হাঙরের মতো। গায়ের রং রুপালি। উপকূলে খুব একটা দেখা যায় না। আর সে কারণেই বোধহয় সমুদ্রসৈকতে এর আবির্ভাব অশনি সংকেত বলে ধরে নেওয়া হয়। যেমন, ২০১১ সালের মার্চ মাসে জাপানে ভয়াবহ কম্পন আর সুনামির আগে নাকি সৈকতে দেখা গিয়েছিল ওর ফিশ। তারপর থেকেই তার নাম হয়ে যায় ‘ভূমিকম্পের মাছ’।

সেই বিপর্যয়ের কথা এখনও ভুলতে পারেননি অনেকেই। রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রা ভূমিকম্প আর তার হাত ধরে আসা সুনামি, সমুদ্রের ৪০ মিটার উচ্চতার ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল অনেকগুলো দ্বীপ। নিমেষের মধ্যে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সংখ্যাটা ১০ হাজার ছুঁইছুঁই। আর এই সমুদ্র দানবের হাত ধরে ফুকুশিমা পরমাণু প্রকল্পেও ঘনিয়েছিল বিপদ। নিউক্লিয়ার চুল্লি ফুটা হয়ে সেখান থেকে বিষাক্ত পারমাণবিক গ্যাস বেরিয়ে সংলগ্ন এলাকাকে কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে। এই বিষাক্ত গ্যাসেও কম মানুষের মৃত্যু হয়নি।

২০১১ সালের বিপর্যয় সামলাতে অনেকটা সময় লেগেছিল জাপানের। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিকাঠামোয় অনেক বদলই এনেছিল প্রযুক্তিতে অনেকটা এগিয়ে থাকা এই দ্বীপ দেশ। ৯ বছর পর ফের সেই স্মৃতিই উসকে দিল মেক্সিকো উপকূলে ধরা পড়া ওর ফিশ। ফার্নান্দো কেভালিন ও ডেভিড জাবেদোরস্কি নামে দুই যুবক মাছটিকে আবিষ্কার করে সৈকতের একেবারে ধারে। এত লম্বা মাছ, দু’জনে দু’দিকে ধরে তারা ছবিও তোলেন। তারপর তাকে সমুদ্রে ছেড়ে দেন ফার্নান্দো ও ডেভিড। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ছড়িয়েছে ত্রাস। তবে ফার্নান্দোর মতে, এই মাছ নাকি প্রোটিনে পরিপূর্ণ। অন্যান্য অঙ্গও বেশ কার্যকরী। তা সত্ত্বেও এই মাছের আবির্ভাব অশুভ বলেই মনে করে স্থানীয় মানুষ।