ঢাকা ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় ব্যবসা বিক্রি বেড়ে গেছে বিশেষ খেলনা পুতুলের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০
  • ১৯৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চীনের ‘সে-ক্স টয়’ নির্মাতারা বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে যাওয়ার জেরে তাদের কাছে বেশি পরিমাণে চাহিদা দেওয়া হচ্ছে। মহামারিতে অন্য খাতগুলোতে ধস নামলেও বিশেষ খেলনা পুতুলগুলোর প্রস্তুতকারকদের ব্যবসা বেড়েই চলেছে।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে চীনের রপ্তানিতে ধস নামতে শুরু করে। পরবর্তী সময়ে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা সামগ্রীর চাহিদা বাড়লেও অর্থনীতির অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়তে থাকে চীনে।

গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে চীনের রপ্তানি পণ্যের বাজার অন্তত ১৭ দশমিক দুই শতাংশ কমে যায়। কিন্তু সেই সঙ্কট কাটিয়ে অর্থনীতি চাঙা করার চেষ্টা করছে চীন।

অন্য বছরের তুলনায় গত দুই মাসেই সে-ক্স টয় রপ্তানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ। সানডংভিত্তিক সে-ক্স টয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান লিবো টেকনোলজির সেলস ম্যানেজার ভায়োলেট ডু বলেছেন, চাহিদার কারণে এরই মধ্যে উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে ২৫ শতাংশ।

তিনি আরো জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে, ফ্রান্স ও ইতালি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কিনছে। গত চার মাসে দেশগুলোতে চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। চাহিদা পূরণে কর্মীদের দুই শিফটে ভাগ করে কাজ করানো হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষজন বাইরে বের হতে পারছে না। সে কারণে সে-ক্স টয়-এর চাহিদা বাড়ছে।

আরেক প্রতিষ্ঠান আইবেই মাসে অন্তত দেড় হাজার সে-ক্স টয় তৈরি করে। দুই হাজার দু’শ ইয়ান থেকে তিন হাজার ছয়শ পর্যন্ত সেগুলোর দাম। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জানান, আমাদের দেশের মানুষরা কিছুটা রক্ষণশীল। সে কারণে রপ্তানির টার্গেটে এসব সে-ক্স টয় তৈরি করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

করোনায় ব্যবসা বিক্রি বেড়ে গেছে বিশেষ খেলনা পুতুলের

আপডেট টাইম : ০৩:৫৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চীনের ‘সে-ক্স টয়’ নির্মাতারা বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে যাওয়ার জেরে তাদের কাছে বেশি পরিমাণে চাহিদা দেওয়া হচ্ছে। মহামারিতে অন্য খাতগুলোতে ধস নামলেও বিশেষ খেলনা পুতুলগুলোর প্রস্তুতকারকদের ব্যবসা বেড়েই চলেছে।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে চীনের রপ্তানিতে ধস নামতে শুরু করে। পরবর্তী সময়ে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা সামগ্রীর চাহিদা বাড়লেও অর্থনীতির অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়তে থাকে চীনে।

গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে চীনের রপ্তানি পণ্যের বাজার অন্তত ১৭ দশমিক দুই শতাংশ কমে যায়। কিন্তু সেই সঙ্কট কাটিয়ে অর্থনীতি চাঙা করার চেষ্টা করছে চীন।

অন্য বছরের তুলনায় গত দুই মাসেই সে-ক্স টয় রপ্তানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ। সানডংভিত্তিক সে-ক্স টয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান লিবো টেকনোলজির সেলস ম্যানেজার ভায়োলেট ডু বলেছেন, চাহিদার কারণে এরই মধ্যে উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে ২৫ শতাংশ।

তিনি আরো জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে, ফ্রান্স ও ইতালি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কিনছে। গত চার মাসে দেশগুলোতে চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। চাহিদা পূরণে কর্মীদের দুই শিফটে ভাগ করে কাজ করানো হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষজন বাইরে বের হতে পারছে না। সে কারণে সে-ক্স টয়-এর চাহিদা বাড়ছে।

আরেক প্রতিষ্ঠান আইবেই মাসে অন্তত দেড় হাজার সে-ক্স টয় তৈরি করে। দুই হাজার দু’শ ইয়ান থেকে তিন হাজার ছয়শ পর্যন্ত সেগুলোর দাম। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জানান, আমাদের দেশের মানুষরা কিছুটা রক্ষণশীল। সে কারণে রপ্তানির টার্গেটে এসব সে-ক্স টয় তৈরি করা হয়।