হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু কিছু দিন কম থাকলেও আবার বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে টানা তিন দিন ধরে দেশটিতে দৈনিক মৃতের সংখ্যা এগারোশর বেশি। শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, লকডাউন তুলে নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সংক্রমণ বেড়েছে। মঙ্গলবার দেশটিতে ১১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। আর বুধবার মারা গেছেন ১১৩৫ জন। এ নিয়ে টানা তিন দিনে এগারোশর বেশি করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে।
বৃহস্পতিবার টেক্সাসে মারা গেছেন ১৭৪ জন, ফ্লোরিডায় ১৭৩, ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৫২ এবং অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে ৮৯ জন মারা গেছেন। ফ্লোরিডায় এর আগে একদিনে এত মানুষ করোনায় মারা যায়নি। এ ছাড়া টেনেসি অঙ্গরাজ্যেও বৃহস্পতিবার ৩৭ জন মারা গেছেন। আক্রান্তের সংখ্যায় একসময়ে বিপর্যস্ত নিউইয়র্ককে ছাড়িয়েছে ফ্লোরিডা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত মে মাসের পর যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় এভাবে টানা এগারোশর বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। ওই মাসে অনেক রাজ্য ও স্থানীয় সরকার বিধিনিষেধ শিথিল করে সৈকতগুলো উন্মুক্ত করে দেয়। খুলে যায় রেস্তোরাঁ ও ব্যবসাকেন্দ্র। এর পর জুনে সংক্রমণ বৃদ্ধির পর জুলাইয়ে বাড়ছে করোনায় মৃত্যু।
চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১৭ রাজ্যে একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। ভাইরাসটির সংক্রমণ ও মৃত্যুর এমন ঊর্ধ্বমুখী হারে ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা এবং টেক্সাসের মতো অঙ্গরাজ্যের হাসপাতালগুলো মারাত্মক সংকটে পড়েছে। রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মারা গেছেন এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৩ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯ লাখ ৭৯ হাজার ৬১৭ জন। আর আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৪১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে এখনও চিকিৎসাধীন ২১ লাখ ২৬ হাজার ৯৫০ জন।
করোনা সংক্রমণ নতুন করে বাড়ার কারণ হিসেবে দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন লকডাউন তুলে নেয়া। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি এস ফাউসি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, লকডাউন তুলে নেয়ায় নতুন করে করোনা সংক্রমণ বিস্তার লাভ করেছে। গত মে মাসের পর দেশটিতে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড করেছে।