হাওর বার্তা ডেস্কঃ কোনভাবেই তাণ্ডব কমানো যাচ্ছে না প্রাণঘাতি করোনার। উৎপত্তির প্রায় ছয় মাসে ইতিমধ্যে কোটির মতো মানুষ ভুক্তভোগী হতে চলেছে। কিন্তু, এখনও কাঙ্খিত কোন ভ্যাকসিন কিংবা টিকা আবিষ্কারে সফলতা মিলেনি। ফলে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হওয়া স্বজন হারাদের মিছিল বেড়ে ৪ লাখ ৮৪ হাজারে পৌঁছেছে। যদিও সুস্থ হয়ে ফিরেছেন পৌনে ৫২ লাখ মানুষ।
অন্যদিকে, হাতেগোনা কয়েকটি দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও মুক্ত হচ্ছে না পুরোপুরি। এমনকি নিয়ন্ত্রণে আসা উৎপত্তিস্থল চীনে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। কম করে হলেও প্রতিদিনই সেখানে নতুন করে আক্রান্তের খবর আসছে গণমাধ্যমগুলোতে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিশ্বের ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৮০ জন মানুষ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ লাখ ১৯ হাজার ৪৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে আরও ৫ হাজার ৭১ জনের। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫৯ জনে ঠেকেছে।
এর মধ্যে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ৬২ হাজার ৫৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ২৮১ জনের। দেশটিতে অবস্থা আরও সংকটের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্রাজিলে আবারও একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১১ লাখ ৯২ হাজার ৪৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৮৭৪ জনে ঠেকেছে।
আক্রান্তের তালিকায় তিনে থাকা রাশিয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৫১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
সংক্রমণে চারে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে সংক্রমণ এখন ৪ লাখ প্রায় ৭৩ হাজার। প্রাণহানি ঘটেছে ১৪ হাজার ৯০৭ জনের।
যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ ৩ লাখ ৭ হাজার ছুঁই ছুঁই। মৃতের সংখ্যা ৪৩ হাজার ছাড়িয়েছে।
এদিকে, নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এতে করে প্রাণহানি বেড়ে ২8 হাজার ৩২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত ২ লাখ প্রায় ৯৪ হাজার ১৬৬ জন মানুষ।
আক্রান্ত ২ লাখ ৬৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে। মৃত্যু হয়েছে সেখানে ৮ হাজার ৫৮৬ জনের।
চিলিতে সংক্রমণ ২ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৭৩১ জনের।
ইউরোপে প্রথম আঘাত হানা ইতালিতে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৪১০ জন মানুষ করোনার শিকার। এর মধ্যে পৃথিবী ছেড়েছেন ৩৪ হাজার ৬৪৪ জন মানুষ।
মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক দেশ ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ সাড়ে ১২ হাজারে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে ৯ হাজার ৯৯৬ জনের।
প্রাণহানির পর এবার সংক্রমণেও জার্মানিকে ছাড়িয়ে গেছে লাতিন আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। দেশটিতে প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের ঘটনা। ইতিমধ্যেই সেখানে সংক্রমণ ১ লাখ ৯৭ হাজারের কাছাকাছি। প্রাণ গেছে ২৪ হাজারের বেশি মানুষের।
জার্মানিতে নিয়ন্ত্রণে করোনা। তারপরও দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ সাড়ে ৯৩ হাজার ২৫৪ জন মানুষের দেহে মিলেছে করোনার সংক্রমণ। ইউরোপের দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার আরেক ভুক্তভোগী পাকিস্তানে আক্রান্ত প্রায় ১ লাখ ৮৯ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৭৫৫ জনের।
আর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, গতকাল বুধবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার ৬৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ৫৮২ জনের। আর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ।