ঢাকা ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকরা জেগে থাকলে সমাজে অন্যায় কম হয় সুপ্রিমকোর্ট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ ২০২০
  • ২৩৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে নির্যাতন ও দণ্ড দেওয়ার ঘটনায় করা রিটের শুনানির সময় সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন আদালতে বলেছেন, সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। তারাই সমাজের নানান ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরেন। সাংবাদিকরা জেগে থাকলে সমাজে অন্যায় কম হয়।

সোমবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

আমিন উদ্দিন আদালতকে বলেন, কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে বাসার দরজা ভেঙে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে একজন সাংবাদিককে যেভাবে দণ্ড দেওয়া হয়েছে তা ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়।

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। এই চতুর্থ স্তম্ভ (সাংবাদিকরা) যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে রাষ্ট্রের বাকি তিন স্তম্ভ (আইন সভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ) সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে।

হাইকোর্ট বলেছেন, একজন ব্যক্তি বা একজন পদধারী রাষ্ট্র বা সরকারকে প্রতিনিধিত্ব করে না। ওই ব্যক্তি বা পদধারী যদি কোনো অন্যায় করে থাকে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র বা সরকার যদি তাকে সমর্থন না দেয় সেটাই হবে আইনের শাসন। আর সরকার বা রাষ্ট্র যদি ব্যক্তির অন্যায়কাজে সমর্থন দেয় সেটা হবে আইনের লঙ্ঘন।

আদালত বলেন, কুড়িগ্রামের ওই ঘটনার পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। উনি বলেছেন, ডিসি যদি অপরাধ করে তাহলে আমরা আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আমরা ওনার বক্তব্যর প্রশংসা করছি। আমি মনে করি আমরা একজন ভালো মন্ত্রী পেতে যাচ্ছি।

শুনানি শেষে আদালত মধ্যরাতে বাসার দরজা ভেঙে সাংবাদিক আরিফুলকে সাজার মামলার নথি তলব করেন। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করেন আদালত।

রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশিষ ভট্টাচার্য।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাংবাদিকরা জেগে থাকলে সমাজে অন্যায় কম হয় সুপ্রিমকোর্ট

আপডেট টাইম : ০৯:৪৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে নির্যাতন ও দণ্ড দেওয়ার ঘটনায় করা রিটের শুনানির সময় সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন আদালতে বলেছেন, সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। তারাই সমাজের নানান ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরেন। সাংবাদিকরা জেগে থাকলে সমাজে অন্যায় কম হয়।

সোমবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

আমিন উদ্দিন আদালতকে বলেন, কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে বাসার দরজা ভেঙে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে একজন সাংবাদিককে যেভাবে দণ্ড দেওয়া হয়েছে তা ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়।

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। এই চতুর্থ স্তম্ভ (সাংবাদিকরা) যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে রাষ্ট্রের বাকি তিন স্তম্ভ (আইন সভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ) সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে।

হাইকোর্ট বলেছেন, একজন ব্যক্তি বা একজন পদধারী রাষ্ট্র বা সরকারকে প্রতিনিধিত্ব করে না। ওই ব্যক্তি বা পদধারী যদি কোনো অন্যায় করে থাকে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র বা সরকার যদি তাকে সমর্থন না দেয় সেটাই হবে আইনের শাসন। আর সরকার বা রাষ্ট্র যদি ব্যক্তির অন্যায়কাজে সমর্থন দেয় সেটা হবে আইনের লঙ্ঘন।

আদালত বলেন, কুড়িগ্রামের ওই ঘটনার পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। উনি বলেছেন, ডিসি যদি অপরাধ করে তাহলে আমরা আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আমরা ওনার বক্তব্যর প্রশংসা করছি। আমি মনে করি আমরা একজন ভালো মন্ত্রী পেতে যাচ্ছি।

শুনানি শেষে আদালত মধ্যরাতে বাসার দরজা ভেঙে সাংবাদিক আরিফুলকে সাজার মামলার নথি তলব করেন। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করেন আদালত।

রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশিষ ভট্টাচার্য।