হাওর বার্তা ডেস্কঃ অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুকে যৌন হেনস্থার দায়ে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় এক যাজককে বহিষ্কার করেছে পোপ। এর আগে পোপ ফ্রান্সিস বলেছিলেন, কোনও ক্যাথলিক ধর্মযাজককে প্রশ্রয় দেবে না ভ্যাটিক্যান।
সম্প্রতি বুঝিয়ে দিলেন, সেই ঘোষণা স্রেফ কথার কথা নয়। কেরালার এক গির্জা জানাচ্ছে, সম্প্রতি সেই কারণেই রবিন ভাড়াক্কুমচেরি নামে এক যাজককে বহিষ্কার করেছেন পোপ। প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে যাজক হিসেবে তাঁর যাবতীয় অধিকার ও দায়িত্ব-ও।
আপাতত সাইরো-মালাবার গির্জার ওই যাজক বর্তমানে জেলে বন্দি। তার বিরুদ্ধে মানানথাবাড়ি ডায়োসেসের ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বা করে দেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে থালাস্সেরির এক পকসো আদালত। গত বছর তাকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তিন লক্ষ টাকা জরিমানারও নির্দেশ দেয় আদালত।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সম্প্রতি ওই গির্জার এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘যাজকের সমস্ত অধিকার ও দায়িত্ব থেকে সরানো হল ভাড়াক্কুমচেরিকে। এর অর্থ, এখন উনি এক জন সাধারণ মানুষের স্তরে পর্যবসিত।’
তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে ভাড়াক্কুমচেরির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই যাজকের যাবতীয় অধিকার ও দায়িত্ব থেকে তাকে সাসপেন্ড করা হয়। তবে তখনও সে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। গত বছর পকসো আদালতে সে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তখনই জানা যায়, নির্যাতিতা সে স্কুলে লেখাপড়া করত, সেখানকার তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন এই যাজক। বছর দুয়েক আগে কানাডায় পালাতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই ভাড়াক্কুমচেরিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পোপ ফ্রান্সিস আগেই বিশপদের জানিয়েছিলেন, শিশু ও নাবালকদের যৌন হেনস্থায় কোনও যাজকের দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়া হবে। গত ডিসেম্বরে এটি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তের কথাও ঘোষণা করেন পোপ যেখানে বলা হয়, এই ধরনের অভিযোগের তদন্তের ক্ষেত্রে যে গোপনীয়তা রাখার নিয়ম ছিল, তা তুলে দেওয়া হল। নির্যাতিতা বা অভিযোগকারীর ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলার উপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, প্রত্যাহার করা হয় তা-ও। অর্থাৎ জনমানসে ভ্যাটিক্যানের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরানোর ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হয়েছিল আগেই।