হাওর বার্তা ডেস্কঃ বছর শুরুর পর এখন পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি সিনেমা মুক্তি পেলেও মার্চে একসঙ্গে অনেকগুলো সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮টি সিনেমা মুক্তির কথা থাকলেও ৬টি সিনেমা মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে শাকিব খানের সিনেমাও। বছরের দ্বিতীয় সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার। গত মাসে ‘বীর’ মুক্তির পর এই মাসে মুক্তি পাচ্ছে ‘শাহেনশাহ’ সিনেমাটি। গতবছরের আলোচিত সিনেমা ‘শাহেনশাহ’র মুক্তি নিয়ে বেশ নাটকীয়তা চলে। শেষ পর্যন্ত গতবছরের মুক্তি তালিকায় জায়গা করতে পারেনি ‘শাহেনশাহ’। এই বছর ঈদে মুক্তির কথা জানা গেলেও এই মাসেই মুক্তি পাবে শাহেনশাহ। শামীম আহমেদ রনি পরিচালিত এই সিনেমায় প্রথমবারের মতো শাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধে দেখা যাবে নূসরাত ফারিয়া ও নবাগত রোদেলা জান্নাতকে। ৬ মার্চ মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
একইদিনে মুক্তি পেতে যাচ্ছে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘হলুদ বনি’। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও ভারতের টেলিসিনে অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্টের প্রযোজনায় সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের হলুদ বনি উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের নির্মাতা তাহের শিপন ও কলকাতার মুকুল রায় চৌধুরী। গতবছর মুক্তির কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত এই সিনেমাটির মুক্তিও পিছিয়েছে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশ থেকে নুসরাত ইমরোজ তিশা, কলকাতা থেকে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পাওলি দাম প্রমুখ।
১৩ মার্চ মুক্তির তালিকায় রয়েছে দুটি সিনেমা। এরমধ্যে রয়েছে দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ সিনেমাটি। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো জুটি হিসেবে অভিনয় করেছেন বাপ্পী চৌধুরী ও অপু বিশ্বাস। একইদিনে মুক্তি পেতে যাচ্ছে মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের প্রথম সিনেমা ‘ঊনপঞ্চাস বাতাস’। এই সিনেমা দিয়ে বড়পর্দায় যাত্রা শুরু করলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফারজানা শার্লিন। ২০ মার্চ মুক্তি পাবে সুজন বড়ুয়া পরিচালিত ‘বান্ধব’ সিনেমাটি। সিনেমার কাহিনি ও সংলাপ লিখেছেন ম ম রুবেল। ‘বান্ধব’-এর সংগীত পরিচালনা করেছেন শেখ সাদী খান। অভিনয় করেছেন সুমিত, মৌ খান, গাজী রাকায়েত, রেবেকা, জয় রাজ প্রমুখ।
মাসের শেষ সপ্তাহে ২৭ মার্চ মুক্তির তালিকায় আছে ইদ্রিস হায়দার পলিচালিত ‘নীল ফড়িং’ ও কামার আহমাদ সাইমনের ‘নীল মুকুট। এরমধ্যে মুক্তির নিশ্চয়তা রয়েছে ‘নীল মুকুট’ ছবিটি।
সিনেমার মুক্তির সংখ্যা যেখানে কমছে সেখানে এক মাসে এতগুলো সিনেমা মুক্তি ইন্ডাস্ট্রির জন্য সম্ভাবনার খবর। তবে এই ধারাবাহিকতা ঠিক রাখাটাও জরুরি। কারণ বছরে নির্দিষ্ট কয়েক মাস হলে সিনেমার ভিড় থাকলেও বেশিরভাগ সময় হল ফাঁকা সময় পাড় করতে হয় ইন্ডাস্ট্রিকে। তাই এই মুক্তির ধারা নিয়মিত থাকা ইন্ডাস্ট্রির জন্য সুখবর বয়ে আনতে পারে।