ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরীর পেছনে না ছুটে দুগ্ধ খামার করে বেকার থেকে সাবলম্বী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ৩৫৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুজানগরে দুগ্ধ খামার করে বেকার থেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন মামুন হোসেন নামে এক যুবক। তিনি উপজেলার ঘোড়াদহ গ্রামের মরহুম আব্দুস শুকুর মোল্লার ছেলে। ছাত্রজীবন থেকেইে মামুনের স্বপ্ন ছিল বেকারত্বের অভিশাপ থেকে বাঁচতে একটি দুগ্ধ খামার করার। একটু দেরিতে হলেও তার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে।

১৯৯৮সালে তিনি ৪টি উন্নত জাতের গাভী কিনে নিজ বাড়িতে দুগ্ধ খামার শুরু করেন। প্রায় ২লক্ষ টাকা দিয়ে ৪টি গাভী কিনে শুরু করা ওই খামারে এখন গাভীর সংখ্যা ১০০টি। মাত্র ৪টি গাভী দিয়ে শুরু করা ওই খামার আস্তে আস্তে এখন উপজেলার মধ্যে সব চেয়ে বড় খামারে পরিণত হয়েছে। খামারী মামুন জানান, বর্তমানে তার খামারে প্রতিদিন প্রায় ৩‘শ লিটার দুধ উৎপাদন হয়।

এ সব দুধ ব্র্যাক এবং আড়ং কোম্পানির চিলিং সেন্টারের পাশাপাশি স্থানীয় হোটেল-রেঁস্তোরায় বিক্রি করা হয়। প্রতিমাসে দুধ বিক্রি করে শ্রমিক ও খাদ্যসহ অন্যান্য খরচ বাদে তার প্রায় তিন লক্ষ টাকা আয় হয় বলে তিনি জানান। মাত্র ৩০বছর বয়সী ওই যুবক মামুন দুগ্ধ খামার করে শুধু নিজেই স্বাবলম্বী হননি এলাকার অনেক বেকার মানুষেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।

বর্তমানে তার খামারে ১৬জন শ্রমিক চাকরি করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে খামারে কর্মরত শ্রমিক রেজাউল করিম জানান। সেই সঙ্গে মামুনের সাফল্য দেখে একই এলাকার বেকার যুবক হাসান শেখসহ অনেকেই দুগ্ধ খামার করার দিকে ঝুঁকছেন।

সফল খামারী মামুন বলেন যেকোন কাজে সফলতার জন্য প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য। এ পর্যন্ত আসতে তার বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার শিকার হতে হয়েছে। তবে তিনি ধৈর্য হারাননি। আর সেকারণেই আজ তার এই সফলতা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন মামুনের দুগ্ধ খামার উপজেলার মধ্যে একটি অনুকরণীয় এবং অনুসরণীয় খামার। মামুনের কর্মনিষ্ঠতা এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগের সঠিক পরামর্শ এবং প্রয়োজনী চিকিৎসাসেবার কারণে খামারটি সত্যই উপজেলার মধ্যে একটি রোগ-বালাইমুক্ত আদর্শ খামারে পরিণত হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চাকরীর পেছনে না ছুটে দুগ্ধ খামার করে বেকার থেকে সাবলম্বী

আপডেট টাইম : ০৫:১৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুজানগরে দুগ্ধ খামার করে বেকার থেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন মামুন হোসেন নামে এক যুবক। তিনি উপজেলার ঘোড়াদহ গ্রামের মরহুম আব্দুস শুকুর মোল্লার ছেলে। ছাত্রজীবন থেকেইে মামুনের স্বপ্ন ছিল বেকারত্বের অভিশাপ থেকে বাঁচতে একটি দুগ্ধ খামার করার। একটু দেরিতে হলেও তার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে।

১৯৯৮সালে তিনি ৪টি উন্নত জাতের গাভী কিনে নিজ বাড়িতে দুগ্ধ খামার শুরু করেন। প্রায় ২লক্ষ টাকা দিয়ে ৪টি গাভী কিনে শুরু করা ওই খামারে এখন গাভীর সংখ্যা ১০০টি। মাত্র ৪টি গাভী দিয়ে শুরু করা ওই খামার আস্তে আস্তে এখন উপজেলার মধ্যে সব চেয়ে বড় খামারে পরিণত হয়েছে। খামারী মামুন জানান, বর্তমানে তার খামারে প্রতিদিন প্রায় ৩‘শ লিটার দুধ উৎপাদন হয়।

এ সব দুধ ব্র্যাক এবং আড়ং কোম্পানির চিলিং সেন্টারের পাশাপাশি স্থানীয় হোটেল-রেঁস্তোরায় বিক্রি করা হয়। প্রতিমাসে দুধ বিক্রি করে শ্রমিক ও খাদ্যসহ অন্যান্য খরচ বাদে তার প্রায় তিন লক্ষ টাকা আয় হয় বলে তিনি জানান। মাত্র ৩০বছর বয়সী ওই যুবক মামুন দুগ্ধ খামার করে শুধু নিজেই স্বাবলম্বী হননি এলাকার অনেক বেকার মানুষেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।

বর্তমানে তার খামারে ১৬জন শ্রমিক চাকরি করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে খামারে কর্মরত শ্রমিক রেজাউল করিম জানান। সেই সঙ্গে মামুনের সাফল্য দেখে একই এলাকার বেকার যুবক হাসান শেখসহ অনেকেই দুগ্ধ খামার করার দিকে ঝুঁকছেন।

সফল খামারী মামুন বলেন যেকোন কাজে সফলতার জন্য প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য। এ পর্যন্ত আসতে তার বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার শিকার হতে হয়েছে। তবে তিনি ধৈর্য হারাননি। আর সেকারণেই আজ তার এই সফলতা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন মামুনের দুগ্ধ খামার উপজেলার মধ্যে একটি অনুকরণীয় এবং অনুসরণীয় খামার। মামুনের কর্মনিষ্ঠতা এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগের সঠিক পরামর্শ এবং প্রয়োজনী চিকিৎসাসেবার কারণে খামারটি সত্যই উপজেলার মধ্যে একটি রোগ-বালাইমুক্ত আদর্শ খামারে পরিণত হয়েছে।