ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন: আরেফিন সিদ্দিক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৭:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ২৩৯ বার

পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং সার্ক ও জাতিসংঘ থেকে দেশটিকে বহিষ্কারের উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। রাজধানীর স্বাধীনতা চত্বরে মঙ্গলবার আসন্ন মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় র‌্যালি ও সমাবেশে এ আহ্বান জানান ঢাবি উপাচার্য।

উপাচার্য বলেন, পাকিস্তানের বিবৃতি (সাকা চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির প্রতিবাদে) একটি দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ের হস্তক্ষেপের সামিল। এর পরও পাকিস্তানিদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার কোনো সুযোগ নেই। তাই অবিলম্বে পাকিস্তানের সঙ্গে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হোক। সার্ক থেকে পাকিস্তানের সদস্য পদ বাতিল করা হোক। জাতিসংঘ থেকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে বহিষ্কারের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। এই দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের, ছাত্রদের, বাংলাদেশের জনগণের।’ এ সময় উপাচার্য ঘোষণা দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র-প্রতিনিধি পাকিস্তানে যাবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে কলাভবন প্রাঙ্গণে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়।

র‌্যালিতে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ তাদের পরিবারের বিপুল সংখ্যক সদস্য অংশ নেন। র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এবং বিজয় অর্জিত হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে পাকিস্তানিরা বিভিন্ন ধরনের অন্যায়-অত্যাচারে লিপ্ত ছিল। ঠান্ডা মাথায় অত্যন্ত নির্মমভাবে বুদ্ধিজীবীসহ অনেক সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ ছিল বিশ্বসভ্যতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আজ তারা নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে। অথচ পাকিস্তান কর্তৃক গঠিত হামিদুর রহমান কমিশনেই গণহত্যার দালিলিক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন: আরেফিন সিদ্দিক

আপডেট টাইম : ০৯:১৭:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৫

পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং সার্ক ও জাতিসংঘ থেকে দেশটিকে বহিষ্কারের উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। রাজধানীর স্বাধীনতা চত্বরে মঙ্গলবার আসন্ন মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় র‌্যালি ও সমাবেশে এ আহ্বান জানান ঢাবি উপাচার্য।

উপাচার্য বলেন, পাকিস্তানের বিবৃতি (সাকা চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির প্রতিবাদে) একটি দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ের হস্তক্ষেপের সামিল। এর পরও পাকিস্তানিদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার কোনো সুযোগ নেই। তাই অবিলম্বে পাকিস্তানের সঙ্গে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হোক। সার্ক থেকে পাকিস্তানের সদস্য পদ বাতিল করা হোক। জাতিসংঘ থেকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে বহিষ্কারের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। এই দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের, ছাত্রদের, বাংলাদেশের জনগণের।’ এ সময় উপাচার্য ঘোষণা দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র-প্রতিনিধি পাকিস্তানে যাবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে কলাভবন প্রাঙ্গণে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়।

র‌্যালিতে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ তাদের পরিবারের বিপুল সংখ্যক সদস্য অংশ নেন। র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এবং বিজয় অর্জিত হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে পাকিস্তানিরা বিভিন্ন ধরনের অন্যায়-অত্যাচারে লিপ্ত ছিল। ঠান্ডা মাথায় অত্যন্ত নির্মমভাবে বুদ্ধিজীবীসহ অনেক সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ ছিল বিশ্বসভ্যতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আজ তারা নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে। অথচ পাকিস্তান কর্তৃক গঠিত হামিদুর রহমান কমিশনেই গণহত্যার দালিলিক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে।