ঢাকা ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপিএল সিজন থ্রি মাশরাফি ঝড়ে কুমিল্লার প্রথম জয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৫
  • ৩৩১ বার

অধিনায়ককে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিতে হয়। মঙ্গলবার তাই করে দেখালেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বল হাতে নয়; ব্যাট হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে দলকে তিনি এনে দিয়েছেন রোমাঞ্চকর জয়। তার ব্যাটে চড়ে এবারের বিপিএলে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

মাশরাফি করেছেন মাত্র ৩২ বলে হার না মানা ৫৬ রান। ৫২ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা মারলন স্যামুয়েলস। মূলত এই দুই তারকার ব্যাটিং নৈপুণ্যে তামিম ইকবালের দল চিটাগাং ভাইকিংসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা।

টোয়েন্টি২০ ক্রিকেটের এই আসরে তৃতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লাকে ১৭৭ রানের টার্গেট দিয়েছে তামিম ইকবালের দল চিটাগাং ভাইকিংস। সেই লক্ষ্য তাড়া করে ৭ বল বাকি থাকতেই জয় পেয়েছে মাশরাফির দল।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কুমিল্লার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ইনিংস ওপেন করেছেন অধিনায়ক তামিম ও শ্রীলঙ্কান তারকা তিলকরত্নে দিলশান।

উদ্বোধনী জুটিতে তামিম-দিলশান তুলেছেন ৬৩ রান। এর পর ৭.১ ওভারে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে (২১ বলে) সাজঘরের পথ ধরেছেন দিলশান। দলীয় ৭৯ রানে বিদায় নিয়েছেন তামিম; ব্যক্তিগত ৩৩ রানে (৩১ বলে)। এই দুই ব্যাটসম্যানকেই আউট করেছেন কুমিল্লার পাকিস্তানী স্পিনার আছার জায়িদি।

দলীয় ৮৪ রানে শ্রীলঙ্কান তারকা চামারা কাপুগেদারার উইকেট হারিয়েছে ভাইকিংস। তবে এনামুল হক বিজয়ের হার না মানা ৩৯ (৩০ বলে) এবং জিয়াউর রহমানের অপরাজিত ৩৯ রানে (১৬ বলে) শেষ অবধি ২০ ওভারে ১৭৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে দলটি।

এ জন্য ৪ উইকেট হারাতে হয়েছে তাদের। মাঝে ১৮ বলে ২২ রানের একটি ইনিংস খেলে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন ইয়াসির আলী।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পক্ষে জায়িদি ২টি এবং মাশরাফি ও সুনিল নারিন ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।

জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে কুমিল্লা। দলীয় ৫৪ রানে শুভাগত হোম ব্যক্তিগত ৩০ রানে (১৬ বলে) আউট হলে দলটি চাপেই পড়েছে।

তবে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনে মাশরাফি ব্যাট হাতে নেমে পড়েছেন মাঠে; জুটি বেঁধেছেন স্যামুয়েলসের সঙ্গে। শেষ অব্দি ১২৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে এনে দিয়েছে দারুণ এক জয়।

চিটাগাংয়ের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানী পেসার মোহাম্মদ আমির। এই ম্যাচেও দারুণ বল করেছেন তিনি। তবে মাশরাফি-স্যামুয়েলস জুটিকে রুখতে পারেননি আমিরও।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন মাশরাফি।

উল্লেখ্য, এবারের আসরে এটি চিটাগাং ভাইকিংসের তৃতীয় ম্যাচ। আগের ২ ম্যাচের একটিতে জয়ী ও একটিতে হেরেছে তারা। অন্যদিকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এটি দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে তারা ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিপিএল সিজন থ্রি মাশরাফি ঝড়ে কুমিল্লার প্রথম জয়

আপডেট টাইম : ১১:৩১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

অধিনায়ককে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিতে হয়। মঙ্গলবার তাই করে দেখালেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বল হাতে নয়; ব্যাট হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে দলকে তিনি এনে দিয়েছেন রোমাঞ্চকর জয়। তার ব্যাটে চড়ে এবারের বিপিএলে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

মাশরাফি করেছেন মাত্র ৩২ বলে হার না মানা ৫৬ রান। ৫২ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা মারলন স্যামুয়েলস। মূলত এই দুই তারকার ব্যাটিং নৈপুণ্যে তামিম ইকবালের দল চিটাগাং ভাইকিংসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা।

টোয়েন্টি২০ ক্রিকেটের এই আসরে তৃতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লাকে ১৭৭ রানের টার্গেট দিয়েছে তামিম ইকবালের দল চিটাগাং ভাইকিংস। সেই লক্ষ্য তাড়া করে ৭ বল বাকি থাকতেই জয় পেয়েছে মাশরাফির দল।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কুমিল্লার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ইনিংস ওপেন করেছেন অধিনায়ক তামিম ও শ্রীলঙ্কান তারকা তিলকরত্নে দিলশান।

উদ্বোধনী জুটিতে তামিম-দিলশান তুলেছেন ৬৩ রান। এর পর ৭.১ ওভারে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে (২১ বলে) সাজঘরের পথ ধরেছেন দিলশান। দলীয় ৭৯ রানে বিদায় নিয়েছেন তামিম; ব্যক্তিগত ৩৩ রানে (৩১ বলে)। এই দুই ব্যাটসম্যানকেই আউট করেছেন কুমিল্লার পাকিস্তানী স্পিনার আছার জায়িদি।

দলীয় ৮৪ রানে শ্রীলঙ্কান তারকা চামারা কাপুগেদারার উইকেট হারিয়েছে ভাইকিংস। তবে এনামুল হক বিজয়ের হার না মানা ৩৯ (৩০ বলে) এবং জিয়াউর রহমানের অপরাজিত ৩৯ রানে (১৬ বলে) শেষ অবধি ২০ ওভারে ১৭৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে দলটি।

এ জন্য ৪ উইকেট হারাতে হয়েছে তাদের। মাঝে ১৮ বলে ২২ রানের একটি ইনিংস খেলে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন ইয়াসির আলী।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পক্ষে জায়িদি ২টি এবং মাশরাফি ও সুনিল নারিন ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।

জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে কুমিল্লা। দলীয় ৫৪ রানে শুভাগত হোম ব্যক্তিগত ৩০ রানে (১৬ বলে) আউট হলে দলটি চাপেই পড়েছে।

তবে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনে মাশরাফি ব্যাট হাতে নেমে পড়েছেন মাঠে; জুটি বেঁধেছেন স্যামুয়েলসের সঙ্গে। শেষ অব্দি ১২৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে এনে দিয়েছে দারুণ এক জয়।

চিটাগাংয়ের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানী পেসার মোহাম্মদ আমির। এই ম্যাচেও দারুণ বল করেছেন তিনি। তবে মাশরাফি-স্যামুয়েলস জুটিকে রুখতে পারেননি আমিরও।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন মাশরাফি।

উল্লেখ্য, এবারের আসরে এটি চিটাগাং ভাইকিংসের তৃতীয় ম্যাচ। আগের ২ ম্যাচের একটিতে জয়ী ও একটিতে হেরেছে তারা। অন্যদিকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এটি দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে তারা ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছিল।