ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ৩ বার

বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই বছর পর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল রবিবার রাতে চালবোঝাই ৩টি ভারতীয় ট্রাক বন্দরে ট্রান্সশিফমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে।

যশোরের মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রথম চালানে ৩টি ট্রাকে ১০৫ টন (এক লাখ ৫ হাজার কেজি) নন বাসমতি চাল আমদানি করেছে।

আমদানিকারকের আরও ১০০ টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশর অপেক্ষায় আছে। বেনাপোল বন্দর থেকে চাল খালাসের দায়িত্বে রয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্ট হোসেন অ্যান্ড সন্স।

সিএন্ডএফ এজেন্টের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান জানান, আমদানি করা চালের মূল্য ৪৫ হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৪ লাখ ১৮ হাজার। আমদানি করা প্রতিকেজি চালের দাম পড়েছে প্রায় ৫২ টাকা। সেই সাথে রয়েছে এলসি খরচ, এক্সপোর্ট খরচ, পরিবহন, বন্দরের ভাড়া, ব্যাংক খরচসহ অন্যান্য খরচ। সেই হিসেবে প্রতিকেজি চালের মূল্য দাড়ায় ৫৫ টাকা।

আজ সোমবার বিকেলে চালের চালানটি বন্দর থেকে ডেলিভারি হওয়ার কথা রয়েছে।

আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে গতকাল থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতও চাল রপ্তানিতে মূল্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় বাড়বে আমদানি। দেশের বাজারে দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে।

২৪ জন আমদানিকারকের মধ্যে যশোর এলাকার ১২ জন আমদানিকারক ৭৩ হাজার সিদ্ধ ও ১৯ হাজার আতপ চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। সবাই চাল আমদানি করতে পারবে কিনা সন্দেহ ব্যবসায়ীদের। কারণ আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল আমদানি করে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।

বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট প্রথম চালানে ১০৫ মেট্রিক টন চালের আইপি সার্টিফিকেট নিয়েছেন। এই আমদানিকারকের আরও ১০০ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের কথা রয়েছে। ২০২৩ সালের ২০ জুলাই দেশের বাইরে সিদ্ধ ও আতপ চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহা জানান, সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় গত ১১ নভেম্বর ২৪টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দেন। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শর্তে বলা হয় বরাদ্দপ্রাপ্ত আমদানিকারকদের আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু করা যাবে না, আমদানিকৃত চাল অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে পুনরায় প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা চাল বস্তায় বিক্রি করতে হবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) সজিব নাজির জানান, রাতে বেনাপোল বন্দরে ১০৫ মেট্রিক টনের প্রখম একটি চাল আমাদনির চালান বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস থেকে শুল্কায়নের পর কাগজপত্র দেখে দ্রুত ছাড় দেওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দুই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু

আপডেট টাইম : ১১:০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই বছর পর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল রবিবার রাতে চালবোঝাই ৩টি ভারতীয় ট্রাক বন্দরে ট্রান্সশিফমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে।

যশোরের মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রথম চালানে ৩টি ট্রাকে ১০৫ টন (এক লাখ ৫ হাজার কেজি) নন বাসমতি চাল আমদানি করেছে।

আমদানিকারকের আরও ১০০ টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশর অপেক্ষায় আছে। বেনাপোল বন্দর থেকে চাল খালাসের দায়িত্বে রয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্ট হোসেন অ্যান্ড সন্স।

সিএন্ডএফ এজেন্টের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান জানান, আমদানি করা চালের মূল্য ৪৫ হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৪ লাখ ১৮ হাজার। আমদানি করা প্রতিকেজি চালের দাম পড়েছে প্রায় ৫২ টাকা। সেই সাথে রয়েছে এলসি খরচ, এক্সপোর্ট খরচ, পরিবহন, বন্দরের ভাড়া, ব্যাংক খরচসহ অন্যান্য খরচ। সেই হিসেবে প্রতিকেজি চালের মূল্য দাড়ায় ৫৫ টাকা।

আজ সোমবার বিকেলে চালের চালানটি বন্দর থেকে ডেলিভারি হওয়ার কথা রয়েছে।

আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে গতকাল থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতও চাল রপ্তানিতে মূল্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় বাড়বে আমদানি। দেশের বাজারে দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে।

২৪ জন আমদানিকারকের মধ্যে যশোর এলাকার ১২ জন আমদানিকারক ৭৩ হাজার সিদ্ধ ও ১৯ হাজার আতপ চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। সবাই চাল আমদানি করতে পারবে কিনা সন্দেহ ব্যবসায়ীদের। কারণ আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল আমদানি করে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।

বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট প্রথম চালানে ১০৫ মেট্রিক টন চালের আইপি সার্টিফিকেট নিয়েছেন। এই আমদানিকারকের আরও ১০০ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের কথা রয়েছে। ২০২৩ সালের ২০ জুলাই দেশের বাইরে সিদ্ধ ও আতপ চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহা জানান, সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় গত ১১ নভেম্বর ২৪টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দেন। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শর্তে বলা হয় বরাদ্দপ্রাপ্ত আমদানিকারকদের আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু করা যাবে না, আমদানিকৃত চাল অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে পুনরায় প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা চাল বস্তায় বিক্রি করতে হবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) সজিব নাজির জানান, রাতে বেনাপোল বন্দরে ১০৫ মেট্রিক টনের প্রখম একটি চাল আমাদনির চালান বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস থেকে শুল্কায়নের পর কাগজপত্র দেখে দ্রুত ছাড় দেওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।