হাওর বার্তা ডেস্কঃ ময়মনসিংহ, যশোর, সাতক্ষীরাসহ দেশের আরো ১৪টি জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ নিয়ে হাইকোর্ট থেকে ১৭টি জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করা হলো।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার ১৪টি জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করে এ আদেশ দেন। ১৪টি জেলার ১৯ জনের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন, ব্যারিস্টার রেজাউল করিম ও আব্দুল আওয়াল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
অন্য যেসব জেলায় নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো হলো নেত্রকোনা, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, হবিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও ও বরগুনা। এর আগে হাইকোর্ট নীলফামারী, বরগুনা, নওগাঁ ও ভোলায় নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।
আদেশে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করা হয়েছে। রুলে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ লঙ্ঘন করে ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফল কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হিসেবে বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবী আসাদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ এর ৭ ধারা অনুযায়ী সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদে ৬০ শতাংশ মহিলা, ২০ শতাংশ পোষ্য এবং বাকি ২০ শতাংশ সাধারণ প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। ওই ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়।’
সারা দেশে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করে গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ফল প্রকাশ করে। এই ফল বাতিল চেয়ে রিট আবেদন করা হয়।