জাতীয় নির্বাচনের অংশগ্রহণ না করার ভুল শুধরে এখন থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সকল নির্বাচনে অংশগ্রহণের নীতি গত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার দলটির নীতিনির্ধারক একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বেশ কয়েকজন নেতা ডিপ্লোমেটিক উত্তরে স্বীকারও করেছেন জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত ছিলো একটি মহা ভুল সিদ্ধান্ত। এখন থেকে আওয়ামী লীগকে কোনো নির্বাচনেই ছেড়ে দেবে না বিএনিপ। এজন্য তারা নেতাকর্মীদের পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিতেও বলেছেন। দলটির নীতি নির্ধারকরা বলছেন, এই নির্বাচনে অংশ নিলে ক্ষতির চেয়ে লাভের পাল্লাই ভারী হবে বিএনপির।
সূত্রটি আরো জানায়, সরকারে দমনপীড়ন মোকাবেলা করে যারা মাঠে টিকে থাকবেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনেও তাদের কে ই প্রাধান্য দেওয়া হবে। এবার মুখে মুখে আর পোস্টারিংয়ে নয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে ত্যাগী নেতাকর্মীদের চিহ্নিত করবে বিএনপির নীতি নির্ধারকরা।
বিএনপির নীতি নির্ধারক সূত্রটি আরো বলেছেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির প্রার্থীদেরই জয়ের সম্ভাবনা বেশি। সেই সাথে তৃণমূল নেতাকর্মীরাও মাঠে সক্রিয় হবেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে বিএনপি সমর্থকদের ওপর পুলিশি হয়রানি কমবে। তবে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে বিএনপির সিদ্ধান্তই ঠিক ছিলো বলে মুখে শীর্ষ নেতারা দাবি করলেও প্রকৃত পক্ষে তা বিএনপির জন্য ঐতিহাসিক ভুল ছিলো দাবি বিএনপির তৃণমূল নেতাদের।
তবে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের দাবি সরকার যদি পৌর নির্বাচনে কারচুপি করে তাদের দলীয় প্রার্থীদের জেতায় তাহলে ফের নেতিবাচক বার্তা যাবে আন্তর্জাতিক মহলে। এতে বিএনপির পুরনো দাবির যুক্তি আরো জোড়ালো হবে।
প্রসঙ্গত, দেশের ২৩৬ পৌরসভায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রেখে তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সোমবার রাতে ইসির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।