ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবকিছুই ফাউন্ডেশনের নামে লিখে দিয়ে যাব তোফায়েল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৮৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিজ এলাকা ও অতীত জীবনের স্মৃতিচারণ করে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা সদর আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আমি কখনও কারও সঙ্গে বেইমানি করিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দেশের মানুষের সেবা করে যেতে চাই।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদীর কোড়ালিয়া গ্রামের নিজ বাসভবনে মায়ের মৃত্যু দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আজ আমার মায়ের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। আমার মায়ের দোয়ায় আল্লাহ আমার সব আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করেছেন। আমি জীবনে বহুবার এমপি নির্বাচিত হয়েছি, কয়েক বার মন্ত্রী হয়ে দায়িত্ব পালন করেছি।

এ সময় তিনি অতীতের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার গ্রামের অনেক পরিবার আমাদের চেয়ে অনেক সচ্ছল ছিল। আমি খালি পায়ে হেঁটে স্কুলে গিয়েছি, মানুষের বাসায় লজিং থেকে পড়ালেখা করেছি। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ঠিকমতো বাবা খরচ চালাতে পারেননি। আজ যারা পড়া-লেখা করছে, তাদের অনেক খরচ দিতে হয়।

তার হাতে নিজ এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ।

তিনি বলেন, এই গ্রাম একদিন অন্ধকারে ছিল। রাস্তাঘাট, কালভার্ট, বিদ্যুৎ, পুল, ব্রিজ, স্কুল-কলেজ বলতে কিছুই ছিল না। আমি এখানে সবকিছুই করে দিয়েছি। আমার এলাকার মানুষ সবাই এক ও অভিন্ন। তারা ভাবে, আমার কাছে আসলেই সবকিছুর সমাধান হবে। কিন্তু সবার আবদার আমি রক্ষা করতে পারি না। অনেককে চাকরি, ব্যবসাসহ নানাভাবে সহাযোগিতা করেছি। আজ তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে আছে। আমার একটি ফাউন্ডেশন আছে। মসজিদ, স্কুল, কলেজ, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, স্বাধীনতা জাদুঘরসহ আমার যা কিছু আছে সবকিছুই ফাউন্ডেশনের নামে লিখে দিয়ে যাব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সবকিছুই ফাউন্ডেশনের নামে লিখে দিয়ে যাব তোফায়েল

আপডেট টাইম : ০১:২৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিজ এলাকা ও অতীত জীবনের স্মৃতিচারণ করে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা সদর আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আমি কখনও কারও সঙ্গে বেইমানি করিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দেশের মানুষের সেবা করে যেতে চাই।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদীর কোড়ালিয়া গ্রামের নিজ বাসভবনে মায়ের মৃত্যু দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আজ আমার মায়ের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। আমার মায়ের দোয়ায় আল্লাহ আমার সব আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করেছেন। আমি জীবনে বহুবার এমপি নির্বাচিত হয়েছি, কয়েক বার মন্ত্রী হয়ে দায়িত্ব পালন করেছি।

এ সময় তিনি অতীতের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার গ্রামের অনেক পরিবার আমাদের চেয়ে অনেক সচ্ছল ছিল। আমি খালি পায়ে হেঁটে স্কুলে গিয়েছি, মানুষের বাসায় লজিং থেকে পড়ালেখা করেছি। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ঠিকমতো বাবা খরচ চালাতে পারেননি। আজ যারা পড়া-লেখা করছে, তাদের অনেক খরচ দিতে হয়।

তার হাতে নিজ এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ।

তিনি বলেন, এই গ্রাম একদিন অন্ধকারে ছিল। রাস্তাঘাট, কালভার্ট, বিদ্যুৎ, পুল, ব্রিজ, স্কুল-কলেজ বলতে কিছুই ছিল না। আমি এখানে সবকিছুই করে দিয়েছি। আমার এলাকার মানুষ সবাই এক ও অভিন্ন। তারা ভাবে, আমার কাছে আসলেই সবকিছুর সমাধান হবে। কিন্তু সবার আবদার আমি রক্ষা করতে পারি না। অনেককে চাকরি, ব্যবসাসহ নানাভাবে সহাযোগিতা করেছি। আজ তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে আছে। আমার একটি ফাউন্ডেশন আছে। মসজিদ, স্কুল, কলেজ, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, স্বাধীনতা জাদুঘরসহ আমার যা কিছু আছে সবকিছুই ফাউন্ডেশনের নামে লিখে দিয়ে যাব।