হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দায়ের হওয়া মামলায় পক্ষে আইনি লড়াই করবেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি।
বুধবার সু চির দফতরের ফেসবুক পেজে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গাম্বিয়ার করা মামলা মোকাবিলার জন্য মিয়ানমার প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের নিয়োজিত করছে। আইনজীবীদের দলের নেতৃত্ব দেবেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর ও কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সু চি। মিয়ানমারের জাতীয় স্বার্থের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) লড়বেন তিনি।
১১ নভেম্বর রোহিঙ্গা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া মামলা করে। মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি এতে সমর্থন দিচ্ছে। মামলায় সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দেয় কানাডাও।
এ ছাড়া গত সপ্তাহে আর্জেন্টিনার আদালতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হুমকি সৃষ্টির অভিযোগে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি, সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার অভিযোগে এই প্রথমবারের মতো সু চিকে কাঠগড়ায় আনার পদক্ষেপ মিয়ানমারের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভাবমূর্তিকে আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রশ্নবিদ্ধ করল।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন টুন রয়টার্সকে বলেন, আমরা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেব এবং সরকার যেভাবে বলবে সেভাবে কাজ করব।
সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির মুখপাত্র মিয়ো নিয়ন্ত রয়টার্সকে জানান, সু চি নিজেই এ মামলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, তারা অং সান সু চিকে মানবাধিকার লংঘনের দায়ে অভিযুক্ত করে। যে কারণে তিনি নিজেই এ মামলা লড়বেন বলে ঠিক করেছেন।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে দেশটির সেনাবাহিনী। নির্বিচার হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন থেকে বাঁচতে পরের কয়েক মাসে অন্তত সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।