হাওর বার্তা ডেস্কঃ তিন দিনেই ইন্দোর টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ায় বাড়তি পাওয়া দুটি দিন দিবা-রাত্রির টেস্টের প্রস্তুতির জন্য কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। গোলাপি বলের আচরণ বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছেন দুই দলের খেলোয়াড়রা।
কোলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আগামী শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। এই ম্যাচ দিয়ে দিবা-রাত্রির টেস্টে অভিষেক হবে দেশ দুটির। প্রথম টেস্টের আগে ও চলার মাঝে গোলাপি বল দিয়ে টুকটাক অনুশীলন করেছে দুই দল। গতপরশু থেকেই ইন্দোরে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। আজই কোলকাতায় পৌঁছুবে দুই দল।
বাংলাদেশ দলের কারো নেই গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতা। ভারতের কয়েক জন গোলাপি বলে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। অবশ্য তারা খেলেছেন কোকাবুরার গোলাপি বলে, কোলকাতা টেস্ট হবে এসজির গোলাপি বলে। দলের অনুশীলনে ছিলেন ইন্দোর টেস্টে বাংলাদেশের সেরা বোলার আবু জায়েদ চৌধুরি রাহী। তরুণ এই পেসার জানান, গোলাপি বল কতটা মুভমেন্ট করে, কতটা সুইং করে দেখতে এসেছেন।
অনুশীলনে ছিলেন পেসার ইবাদত হোসেন। তিনি জানান, দুয়েকটা সেশন অনুশীলনের আগে গোলাপি বলের আচরণ বোঝা সম্ভব হবে না, ‘গোপালি বলে এখনো খেলা হয়নি, অনুশীলনও হয়নি। স্পষ্ট কোনো ধারণা তাই নেই। যতটুকু শুনেছি গোলাপি বলে ভালো সুইং করানো যায়। বিশেষ করে ফ্লাড লাইটের আলোয় যখন খেলা হবে, অর্থাৎ সন্ধ্যার পর থেকে বল সুইং করানো যায়। অনুশীলন করতে পারলেই বুঝব আসলে কতটা কি।’
ইন্দোর টেস্টে ব্যর্থ দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম ছিলেন অনুশীলনে। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আরও ছিলেন মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও মুমিনুল হক। পেসারদের মধ্যে ছিলেন আল আমিন হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন নাঈম হাসান।
প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ভারত ছেড়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি। তাকে ছাড়াই গোলাপি বল সামলানোর কঠিন কাজ শুরু করেছেন মুমিনুল-মুশফিকরা। তাদের ব্যাটিংয়ের তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
ইনিংস ও ১৩০ রানে জিতে চনমনে মেজাজে রয়েছে ভারত। ঐচ্ছিক অনুশীলনে আসেনি তাদের খুব বেশি ক্রিকেটার। অনেকেই রয়েছেন ছুটিতে। শুভামন গিল, রিশাভ পান্তের মতো প্রথম টেস্টে বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা বেশি সময় ধরে খেলেছেন গোলাপি বলে। এই বল দুই দলের জন্যই অচেনা বলে কলকাতায় নিজেদের বেশ ভালো সম্ভাবনা দেখছেন আবু জায়েদ, ‘গোলাপি বল দুই দলের জন্যই নতুন। যারা ভালো খেলবে, তারাই ফল পাবে। আমরা আশাবাদী।