ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় নবান্ন উৎসব ১৪২২ উদ্যাপিত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫
  • ৪৬৬ বার

আজ পহেল অগ্রহায়ণ। জাতীয় নবান্নোৎসব উদ্যাপন পর্ষদ আয়োজন করেছে নবান্ন্ উৎসব ১৪২২। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় দিনব্যাপী আয়োজন ছিলো নবান্ন উৎসবের। দুইপর্বের উৎসবের শুরু হয় সকাল ৭টা ১মিনিটে প্রিয়াংকা গোপের রাগসঙ্গীতের মাধ্যমে। উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। উদ্বোধনী নবান্ন কথনে অংশ নেন আহ্বায়ক শাহরিয়ার সালাম ও চেয়ারপার্সন লায়লা হাসান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাজী মদিনা, মাহমুদ সেলিম, বাবুল বিশ্বাস, কাজী মো: শীশ ও হামদর্দের পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম প্রমূখ। কথন সঞ্চালনা করেন মানজার চৌধুরী সুইট। স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে আহ্বায়ক শাহরিয়ার সালাম সবাইকে ফ্রান্সে নৃশংস হামলার নিন্দা জানিয়ে নিহতদের স্মরণে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, নবান্ন উৎসবের পহেলা অগ্রহায়ণকে জাতয়ি নবান্ন উৎসব দিবস ঘোষণা করে দিনটিকে সরকালী ছুটি প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয়ভাবে নবান্ন উৎসব আয়োজনের জন্য আহ্বান জানান। প্রফেসর ইমেরিটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী নবান্ন উৎসবের ঐতিহ্যেও প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এর ব্যাপক বিস্তারের ওপর জোর দেন। তিনি পুঁজিবাদের বিরূদ্ধে কৃষকের নবান্নকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান। লায়লা হাসান উৎসবে অংশ নেয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। সকালের অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ফরিদা পারভীন, মহাদেব ঘোষ, সন্দিপন, উদীচী, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, বহ্নিশিখা ও আনন্দন। নৃত্য পরিবেশন করে তামান্না রহমানের পরিচালনায় নৃত্যম, লায়লা হাসানের পরিচালনায় নটরাজ, এম আর ওয়াসেকের পরিচালনায় নৃত্যনন্দন, অনিক বসুর পরিচালনায় স্পন্দন, গাঢ়ো ওয়ানগালা জুম নৃত্য পরিবেশন করেন গাঢ়ো কালচারাল একাডেমি এবং আলকাপ পরিবেশন করেন রাজশাহীর আলকাপ রঙ্গরস থিয়েটার। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আহকামউল্লাহ ও লায়লা আফরোজ। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে নবান্ন মোভাযাত্রা চারুকলার বকুলতলা থেকে বের হয়ে টিএসসি চত্বর ঘুরে পূণরায় বকুলতলায় এসে শেষ হয়।

বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে ঢাক-ঢোলের বাদনে উৎসব অঙ্গন পূণরায় মুখর হয়ে ওঠে। বিকেলে নবচেতনার পরিবেশনায় ধামাইল আলতাফ হোসেনের দলের আলকাপ ছাড়াও সঙ্গীত নৃত্য ও আবৃত্তিতে অংশ নেন ঋষিজ, ক্রান্তি, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, পঞ্চভাস্কর, সুরবিহার, গীতিমায়া, উদীচী (মিরপুর), দৃষ্টি, ধ্রুব শিশু কিশোর সংগঠন, সুরতাল, অগ্নিবীনা শিল্পকলা বিদ্যালয় ,ভাওয়াইয়া গানের দল, বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাউন আর্টস, অনন্যা, দিব্য নৃত্যজন সহ ত্রিশটি সংগঠন এবং অনিমা মুক্তি গোমেজ, কল্পনা রাজবংশী, খগেন্দ্রনাথ সরকার, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রাবণী গুহ রায়, সমর বড়–য়া, আবিদা সেতু, বিশ্বজিৎ রায়, সরদার রহমাতুল্লাহ, মামুন, পাপ্পু, ইন্দ্রানী, স্বর্ণময়ী মন্ডল, অনিমা রায়, এসএম মেজবাহ, মাহজাবীন শাওলী, স্বপ্নিল সজিব, ফেরদৌসি কাকলী, দুরদানা, পান্না দত্ত, সুশান্ত কর্মকার, মুনীয়া ইসলাম পাপ্পু, সীমান্ত সজল, আমিনুল ইসলাম, মীরা মন্ডল, বেলায়েত হোসেন, রূপা চক্রবর্তী, মাসকুরে সাত্তার কল্লোল, রেজিনা ওয়ালী লীনা, ফয়জুল আলম পাপ্পু, নায়লা তারানউম কাকলি, তামান্না সারোয়ার নীপা, নিমাই মন্ডল প্রমূখ। রাতে যথারীতি জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জাতীয় নবান্ন উৎসব ১৪২২ উদ্যাপিত

আপডেট টাইম : ০৮:২৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

আজ পহেল অগ্রহায়ণ। জাতীয় নবান্নোৎসব উদ্যাপন পর্ষদ আয়োজন করেছে নবান্ন্ উৎসব ১৪২২। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় দিনব্যাপী আয়োজন ছিলো নবান্ন উৎসবের। দুইপর্বের উৎসবের শুরু হয় সকাল ৭টা ১মিনিটে প্রিয়াংকা গোপের রাগসঙ্গীতের মাধ্যমে। উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। উদ্বোধনী নবান্ন কথনে অংশ নেন আহ্বায়ক শাহরিয়ার সালাম ও চেয়ারপার্সন লায়লা হাসান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাজী মদিনা, মাহমুদ সেলিম, বাবুল বিশ্বাস, কাজী মো: শীশ ও হামদর্দের পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম প্রমূখ। কথন সঞ্চালনা করেন মানজার চৌধুরী সুইট। স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে আহ্বায়ক শাহরিয়ার সালাম সবাইকে ফ্রান্সে নৃশংস হামলার নিন্দা জানিয়ে নিহতদের স্মরণে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, নবান্ন উৎসবের পহেলা অগ্রহায়ণকে জাতয়ি নবান্ন উৎসব দিবস ঘোষণা করে দিনটিকে সরকালী ছুটি প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয়ভাবে নবান্ন উৎসব আয়োজনের জন্য আহ্বান জানান। প্রফেসর ইমেরিটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী নবান্ন উৎসবের ঐতিহ্যেও প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এর ব্যাপক বিস্তারের ওপর জোর দেন। তিনি পুঁজিবাদের বিরূদ্ধে কৃষকের নবান্নকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান। লায়লা হাসান উৎসবে অংশ নেয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। সকালের অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ফরিদা পারভীন, মহাদেব ঘোষ, সন্দিপন, উদীচী, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, বহ্নিশিখা ও আনন্দন। নৃত্য পরিবেশন করে তামান্না রহমানের পরিচালনায় নৃত্যম, লায়লা হাসানের পরিচালনায় নটরাজ, এম আর ওয়াসেকের পরিচালনায় নৃত্যনন্দন, অনিক বসুর পরিচালনায় স্পন্দন, গাঢ়ো ওয়ানগালা জুম নৃত্য পরিবেশন করেন গাঢ়ো কালচারাল একাডেমি এবং আলকাপ পরিবেশন করেন রাজশাহীর আলকাপ রঙ্গরস থিয়েটার। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আহকামউল্লাহ ও লায়লা আফরোজ। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে নবান্ন মোভাযাত্রা চারুকলার বকুলতলা থেকে বের হয়ে টিএসসি চত্বর ঘুরে পূণরায় বকুলতলায় এসে শেষ হয়।

বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে ঢাক-ঢোলের বাদনে উৎসব অঙ্গন পূণরায় মুখর হয়ে ওঠে। বিকেলে নবচেতনার পরিবেশনায় ধামাইল আলতাফ হোসেনের দলের আলকাপ ছাড়াও সঙ্গীত নৃত্য ও আবৃত্তিতে অংশ নেন ঋষিজ, ক্রান্তি, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, পঞ্চভাস্কর, সুরবিহার, গীতিমায়া, উদীচী (মিরপুর), দৃষ্টি, ধ্রুব শিশু কিশোর সংগঠন, সুরতাল, অগ্নিবীনা শিল্পকলা বিদ্যালয় ,ভাওয়াইয়া গানের দল, বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাউন আর্টস, অনন্যা, দিব্য নৃত্যজন সহ ত্রিশটি সংগঠন এবং অনিমা মুক্তি গোমেজ, কল্পনা রাজবংশী, খগেন্দ্রনাথ সরকার, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রাবণী গুহ রায়, সমর বড়–য়া, আবিদা সেতু, বিশ্বজিৎ রায়, সরদার রহমাতুল্লাহ, মামুন, পাপ্পু, ইন্দ্রানী, স্বর্ণময়ী মন্ডল, অনিমা রায়, এসএম মেজবাহ, মাহজাবীন শাওলী, স্বপ্নিল সজিব, ফেরদৌসি কাকলী, দুরদানা, পান্না দত্ত, সুশান্ত কর্মকার, মুনীয়া ইসলাম পাপ্পু, সীমান্ত সজল, আমিনুল ইসলাম, মীরা মন্ডল, বেলায়েত হোসেন, রূপা চক্রবর্তী, মাসকুরে সাত্তার কল্লোল, রেজিনা ওয়ালী লীনা, ফয়জুল আলম পাপ্পু, নায়লা তারানউম কাকলি, তামান্না সারোয়ার নীপা, নিমাই মন্ডল প্রমূখ। রাতে যথারীতি জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।