হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেসরকারি স্কুলে ভর্তি নীতিমালায় তিন ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। চলতি সপ্তাহে এই নীতিমালা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, ২০২০ সালের বেসরকারি স্কুলের ভর্তি নীতিমালায় বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। যদি কেউ নীতিমালা অমান্য করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। চলতি সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ নীতিমাল জারি করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
খসড়া স্কুল ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, ২০২০ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি উভয় ধরনের হাইস্কুলে প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তির আয়োজন করা হবে। ৬ষ্ঠ ও ৯ম শ্রেণিতে যথাক্রমে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষার ফল অনুযায়ী ভর্তি করতে হবে। অন্যসব ক্লাসে পরীক্ষা নেয়া যাবে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণিতে তিনটি বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে তিন বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজি, গণিত) ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় পাঠ্যপুস্তকের বাইরে থেকে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী যে শ্রেণিতে লেখাপড়া করেছে, সেই ক্লাসের বই থেকে পরবতী ক্লাসে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হবে। ভর্তিতে আগের মতো মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, এলাকা, শিক্ষা বিভাগের কোটা থাকবে। পাশাপাশি সরকারি হাইস্কুলের ১০ শতাংশ আসন সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে।
নীতিমালায় তিনটি পরিবর্তনের মধ্যে অন্যতম অনুমোদিত আসনের অতিরিক্ত ভর্তি না করাতে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে মোট আসন সংখ্যা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) পাঠাতে হবে। সেজন্য মাউশি থেকে তালিকা পাঠাতে নির্দেশনা দিতে বলা হবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে তা যাচাই-বাছাই করা হবে।
টিউশন ফির লাগাম টেনে ধরতে সরকারের ঘোষিত নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত আদায় যেন করতে না পারে, সেজন্য তিন ধরনের কমিটি গঠন করা হবে। উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এ কমিটি গঠন করা হবে। এদের মধ্যে আবার উপ-কমিটি গঠন করা হবে। তারা বিষয়গুলো মনিটরিং করবে। পাশাপাশি গলাকাটা টিউশন ফি বন্ধে আলাদা নীতিমালা তৈরির কাজ শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির ক্ষেত্রে আন্তঃউপজেলা বদলির বিষয়টি নতুনভাবে যুক্ত করা হয়েছে। যেটি আগে জেলা পর্যায়ে বদলির বিধান ছিল। বর্তমানে এখন সেটি উপজেলা পর্যায়ে স্কুল বদলি নীতিমালায় যুক্ত করা হয়েছে।