ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধানের বাম্পার ফলন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০১৫
  • ৩৮৮ বার

ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার হাজার হাজার কৃষকরা অসময়ে বি-৪৯ ধান চাষ করে কৃষক এবার স্বাবলম্বী হয়েছে। পাটের ক্ষেতে বি-৪৯ জাতের ধান বুনিয়ে অতিরিক্ত ফসল হওয়ার কারণে গ্রাম-গঞ্জের কৃষকের মাঝে হাসি ফুটেছে। অত্যন্ত স্বল্প সময়ে এবং কম খরচে উন্নত জাতের ধান উৎপাদন করতে পেরে তারা বেশ খুশি।
বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫টি জেলার আঞ্চলিক অফিস ভাঙ্গা ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে তারা এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৩টি উচ্চ ফলনশীল এবং ৪টি হাইব্রিড জাতীয় নতুন ধানের বীজ উদ্ভাবন করেছে। আর এতে লাভবান হয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। এক সময় বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষক তাদের জমিতে বছরে একবার ধান আবাদ করলেও এখন ওই কৃষি জমিতে বছরে ৩ বার ধান উৎপাদন করতে পারছেন। কৃষকরা পাটের মধ্যে ধান বুনিয়ে পাট কাটা শেষে ওই জমিতে ধানের আবাদ করতে পেরে খুশি। এখন বিঘাপ্রতি ৫০-৫৫ মণ ধান উৎপাদন হচ্ছে। এতে লাভবান হয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও তাদের দেয়া সহযোগিতায় এ অঞ্চলের কৃষকরা যথেষ্ট লাভবান হয়েছেন বলে কৃষকরা জানান।
আগে একজন সাধারণ কৃষক ১ বিঘা পরিমাণ জমিতে ধান আবাদ করে ৩০ থেকে ৩৫ মণ ধান পেতেন, ওই জমিতে এখন ৫০ থেকে ৬০ মণ ধান পাচ্ছেন। ভাঙ্গা ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন জানান , ১৯৮৬ সাল থেকে নিরলসভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্থানীয় কৃষকরা স্বপ্ন দেখছেন বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এমন পদ্ধতি উদ্ভাবন করবেন যাতে তারা একটি জমিতে বছরে ৪ বার ধান আবাদ করতে পারেন।
এ অঞ্চলে এই প্রথম বি-৪৯ জাতের ধান বুনিয়ে ভালো ফল পাওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি। এজাতের ধানের চালটা প্রায় নাজিরশাইল চালের মতো খেতে বেশ মজা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানের বাম্পার ফলন

আপডেট টাইম : ০৮:৪১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০১৫

ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার হাজার হাজার কৃষকরা অসময়ে বি-৪৯ ধান চাষ করে কৃষক এবার স্বাবলম্বী হয়েছে। পাটের ক্ষেতে বি-৪৯ জাতের ধান বুনিয়ে অতিরিক্ত ফসল হওয়ার কারণে গ্রাম-গঞ্জের কৃষকের মাঝে হাসি ফুটেছে। অত্যন্ত স্বল্প সময়ে এবং কম খরচে উন্নত জাতের ধান উৎপাদন করতে পেরে তারা বেশ খুশি।
বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫টি জেলার আঞ্চলিক অফিস ভাঙ্গা ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে তারা এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৩টি উচ্চ ফলনশীল এবং ৪টি হাইব্রিড জাতীয় নতুন ধানের বীজ উদ্ভাবন করেছে। আর এতে লাভবান হয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। এক সময় বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষক তাদের জমিতে বছরে একবার ধান আবাদ করলেও এখন ওই কৃষি জমিতে বছরে ৩ বার ধান উৎপাদন করতে পারছেন। কৃষকরা পাটের মধ্যে ধান বুনিয়ে পাট কাটা শেষে ওই জমিতে ধানের আবাদ করতে পেরে খুশি। এখন বিঘাপ্রতি ৫০-৫৫ মণ ধান উৎপাদন হচ্ছে। এতে লাভবান হয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও তাদের দেয়া সহযোগিতায় এ অঞ্চলের কৃষকরা যথেষ্ট লাভবান হয়েছেন বলে কৃষকরা জানান।
আগে একজন সাধারণ কৃষক ১ বিঘা পরিমাণ জমিতে ধান আবাদ করে ৩০ থেকে ৩৫ মণ ধান পেতেন, ওই জমিতে এখন ৫০ থেকে ৬০ মণ ধান পাচ্ছেন। ভাঙ্গা ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন জানান , ১৯৮৬ সাল থেকে নিরলসভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্থানীয় কৃষকরা স্বপ্ন দেখছেন বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এমন পদ্ধতি উদ্ভাবন করবেন যাতে তারা একটি জমিতে বছরে ৪ বার ধান আবাদ করতে পারেন।
এ অঞ্চলে এই প্রথম বি-৪৯ জাতের ধান বুনিয়ে ভালো ফল পাওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি। এজাতের ধানের চালটা প্রায় নাজিরশাইল চালের মতো খেতে বেশ মজা।