ঢাকা ০১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের আইএস মানে মেড ইন টঙ্গী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০১৫
  • ৪০৭ বার

বাংলাদেশে আইএস নামের জঙ্গিবাদী সংগঠনের কোনো কাঠামোবদ্ধ অস্তিত্ব এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আইএসের নামে যে ধোঁয়া তোলা হচ্ছে তা মেড ইন যাত্রাবাড়ী ও মেড ইন টঙ্গী।’

সোমবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউসে বিভাগীয় প্রশাসনের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন র‍্যাব মহাপরিচালক।

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে আইএস নামক কোনো জঙ্গিবাদী সংগঠনের স্ট্রাকচারড অস্তিত্ব আমরা আজ পর্যন্ত পাইনি। যেটা হয়েছে যে এ বছরের গোড়ার দিকে দুইবার একবার লন্ডন থেকে একবার ভারত থেকে দুটো দল এসেছিল এখানে এই সংগঠনের প্রচার ও প্রসার করার জন্য। তাদের কিন্তু আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তাদের আমরা জেলে পুরেছি। এর বাইরে আমরা ক্রমাগত সব গোয়েন্দা সংস্থা র‍্যাব, আমাদের অন্য যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আছে, লোকাল পুলিশ, সবাই মিলে কিন্তু আমরা এদের কার্যক্রমের ওপর লক্ষ রাখছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা এই ধরনের কোনো হদিস বা উদ্দেশ পাইনি।’

এই দুটো ঘটনা বাংলাদেশে সক্রিয় আইএসের অস্তিত্বকে প্রমাণ করে না বলে মন্তব্য করেন র‍্যাব মহাপরিচালক। বিদেশি হত্যার পর আইএসের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে পোস্ট দেওয়া হয়েছিল সে সম্পর্কে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘নরমালি আইএস যদি কোনো পোস্টিং দেয় তাহলে সেটা আসতে হবে আইএসের ইন্টারন্যাশনাল উইং থেকে। কিন্তু আমরা দেখেছি এই দুইটা পোস্টিং এসেছে একটা আমাদের গাজীপুরের টঙ্গী থেকে আরেকটা পোস্টিং করেছে যাত্রাবাড়ী থেকে। তার মানে বাংলাদেশে যে আইএসের ধোঁয়া তোলা হচ্ছে সেটা হচ্ছে মেড ইন যাত্রাবাড়ী আর মেড ইন টঙ্গী।’

গত পাঁচ-ছয় সপ্তাহের মধ্যে ঘটা আটটি হত্যাকাণ্ডকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যা বলে উল্লেখ করেন র‍্যাব মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা ছাড়া কিন্তু বিগত সময়ে সারাদেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নরমাল। আকস্মিকভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য যে আটিটি খুন করা হলো সেটি আমরা তদন্ত করে দেখছি যাতে দ্রুত তাদের বিচারের আওতায় আনা যায়। যাতে ভবিষ্যতে এই অপকর্ম করার দুঃসাহস কেউ না দেখায়।’

এ সময় বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদ, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান, খুলনার পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফাকামালসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাংলাদেশের আইএস মানে মেড ইন টঙ্গী

আপডেট টাইম : ০৮:০৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশে আইএস নামের জঙ্গিবাদী সংগঠনের কোনো কাঠামোবদ্ধ অস্তিত্ব এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আইএসের নামে যে ধোঁয়া তোলা হচ্ছে তা মেড ইন যাত্রাবাড়ী ও মেড ইন টঙ্গী।’

সোমবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউসে বিভাগীয় প্রশাসনের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন র‍্যাব মহাপরিচালক।

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে আইএস নামক কোনো জঙ্গিবাদী সংগঠনের স্ট্রাকচারড অস্তিত্ব আমরা আজ পর্যন্ত পাইনি। যেটা হয়েছে যে এ বছরের গোড়ার দিকে দুইবার একবার লন্ডন থেকে একবার ভারত থেকে দুটো দল এসেছিল এখানে এই সংগঠনের প্রচার ও প্রসার করার জন্য। তাদের কিন্তু আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তাদের আমরা জেলে পুরেছি। এর বাইরে আমরা ক্রমাগত সব গোয়েন্দা সংস্থা র‍্যাব, আমাদের অন্য যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আছে, লোকাল পুলিশ, সবাই মিলে কিন্তু আমরা এদের কার্যক্রমের ওপর লক্ষ রাখছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা এই ধরনের কোনো হদিস বা উদ্দেশ পাইনি।’

এই দুটো ঘটনা বাংলাদেশে সক্রিয় আইএসের অস্তিত্বকে প্রমাণ করে না বলে মন্তব্য করেন র‍্যাব মহাপরিচালক। বিদেশি হত্যার পর আইএসের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে পোস্ট দেওয়া হয়েছিল সে সম্পর্কে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘নরমালি আইএস যদি কোনো পোস্টিং দেয় তাহলে সেটা আসতে হবে আইএসের ইন্টারন্যাশনাল উইং থেকে। কিন্তু আমরা দেখেছি এই দুইটা পোস্টিং এসেছে একটা আমাদের গাজীপুরের টঙ্গী থেকে আরেকটা পোস্টিং করেছে যাত্রাবাড়ী থেকে। তার মানে বাংলাদেশে যে আইএসের ধোঁয়া তোলা হচ্ছে সেটা হচ্ছে মেড ইন যাত্রাবাড়ী আর মেড ইন টঙ্গী।’

গত পাঁচ-ছয় সপ্তাহের মধ্যে ঘটা আটটি হত্যাকাণ্ডকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যা বলে উল্লেখ করেন র‍্যাব মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা ছাড়া কিন্তু বিগত সময়ে সারাদেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নরমাল। আকস্মিকভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য যে আটিটি খুন করা হলো সেটি আমরা তদন্ত করে দেখছি যাতে দ্রুত তাদের বিচারের আওতায় আনা যায়। যাতে ভবিষ্যতে এই অপকর্ম করার দুঃসাহস কেউ না দেখায়।’

এ সময় বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদ, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান, খুলনার পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফাকামালসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।