নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব সুধাংশু কুমার সাহাসহ কমিশনের ১৪ কর্মকর্তার কাছে চাঁদা চেয়ে পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
সোমবার সকাল নয়টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে এ চাঁদা চাওয়া হয়। তবে কত টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি ওই জিডিতে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় সুধাংশু কুমার সাহা স্বাক্ষরিত ওই জিডি শেরে বাংলানগর থানায় রেকর্ড করেন ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এস্আই) ওয়াজেদ আলী।
শেরে বাংলানগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াজেদ আলী বলেন, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় সুধাংশু কুমার সাহা নিজে থানায় এসে একটি জিডি করেন। শেরে বাংলানগর থানার সাধারণ ডায়েরি নম্বর-১৮৫৬। ১৫ জনের পক্ষে ওই জিডিতে তিনি স্বাক্ষর করেন।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, আজ সোমবার সকাল নয়টা ও বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আমাদের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে ফোন করে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেছে। তাদের চাহিদামত টাকা না দিলে তারা আমাদের পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন।
ওই হুমকির তালিকায় রয়েছেন নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আবদুল ওয়াদুদ, উপ-সচিব ইজরাইল হোসেন, সিনিয়র সহকারী সচিব মিজানুর রহমান, সিনিয়র সহকারী সচিব মো. এনামুল হক, সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শাহ আলম, সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আতিয়ার রহমান, সহকারী সচিব লুৎফুল কবির সরকার, সহকারী সচিব রাজিব আহসান, সহকারী সচিব সৈয়দ গোলাম রাশেদ, সহকারী সচিব মো. আশফারুকুর রহমান, সহকারী সচিব মো. শরিফুল ইসলাম, সালাহউদ্দিন আহম্মদ ও মেন্টেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার মো. ইকবাল জাভীদ।
সিনিয়র সহকারী সচিব সুধাংশু কুমার সাহার দায়ের করা ওই সাধারণ ডায়েরির তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন শেরে বাংলানগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াজেদ আলী, উপ-পরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জাল ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব সুধাংশু কুমার সাহা ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে বাংলালিংকের মোবাইল থেকে আমার গ্রামীণ নম্বরে একটি ফোন আসে। ওপরপ্রাপ্ত থেকে বলা হয়, আপনি সুধাংশু কুমার সাহা বলছেন? আমি আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবু বলছি। আপনি শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবুর নাম শুনেছেন। তখন আমি ফোনের লাইন কেটে দেই। পরে আমাকে ওই নম্বর থেকে আর কোন ফোন করা হয়নি।
জানতে চাইলে শেরে বাংলানগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াজেদ আলী বলেন, আমরা তিনজন মিলে একটি টিম হয়ে জিডির তদন্ত শুরু করেছি। পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে।