বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির রায় কার্যকরের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ‘তার মামাবাড়ি’ পাকিস্তানের আবদার মেটাতে অস্থিরতা প্রকাশ করছে বলে মনে করে বিচারের দাবিতে সোচ্চার সংগঠনগুলো। সংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, এখন পাকিস্তানি গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনসহ নানা প্রোপাগান্ডা শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সেখানে প্রচারিত খবরে বলা হচ্ছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাক্ষী দিতে যে পাঁচ পাকিস্তানির আসার কথা ছিল সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এমন খবর নাকচ করে দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, কারো ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। তবে কোনো পাকিস্তানি নিয়মিত ভিসা প্রক্রিয়ার বাইরে বাংলাদেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তানের একটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কথিত এক সম্ভাব্য সাক্ষী এবং সাবেক পাকিস্তানি মন্ত্রী ইশাক খান খাকওয়ানি জানিয়েছেন, ট্রাইব্যুনাল তাদের সাক্ষী হিসেবে গ্রহণ না করায় তারা বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্টে গিয়েছিলেন। এরপরই তিনিসহ অন্যদের বাংলাদেশে প্রবেশে ‘ব্ল্যাকলিস্টেড’ করা হয়। তবে খাকওয়ানিসহ পাকিস্তানিদের এমন হতাশাকে অস্থিরতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, রিভিউ পর্যায়ে কোনোভাবেই যে নতুন করে সাক্ষ্য নেয়া যায় না এটা তাদেরও অজানা নয়। এরপরও তারা বিচারকে কোনো না কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টার অংশ হিসেবে নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানিরা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বা মুজাহিদ বা অন্য কোনো যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে যত বেশি চেষ্টা করবে, তত বেশি প্রমাণ হবে যে, একাত্তরে তারা পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছে। ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকরে যাতে বানচাল হয় সেজন্য পাকিস্তান ও তাদের সহযোগীরা নানামুখি চেষ্টা করছে। যেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ‘মামাবাড়ি’ পাকিস্তান। তবে কোনো ষড়যন্ত্রই শেষ পর্যন্ত অপরাধীদের শাস্তি কার্যকর থেকে বাঁচাতে পারবে না। তথ্র্যসূত্র : চ্যানেল আই
সংবাদ শিরোনাম
সাকার মামাবাড়ি যেন পাকিস্তান
- Reporter Name
- আপডেট টাইম : ০৯:৪৮:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৫
- ৩৯৩ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ