কিশোরগঞ্জ ক্রিকেট ক্লাবের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল, সাবেক অধিনায়ক ও কোচ শফিকুল হক হীরা, মেহরাব হোসেন অপি, হাসিবুল হোসেন শান্ত, জাতীয় দলের সাবেক কোচ জালাল আহমেদ, মাহমুদুল হোসেন রানাসহ অন্যান্য ক্রিকেটাররা।
ক্রিকেটে ভালো করতে হলে কঠোর অনুশীলন আর সেই সঙ্গে লেখাপড়ায় মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন মোহাম্মদ আশরাফুল। নতুন এ ক্লাবের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্রিকেটাররা জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কিশোরগঞ্জে ক্রিকেটে দুর্দিন চলছে অনেক দিন ধরেই। কাটছিল না নতুন ক্রিকেটার তৈরির খরা। এ অবস্থায় কিশোরগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমির আত্মপ্রকাশে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে নতুন প্রজন্ম। আর সংগঠনটির যাত্রালগ্নে ক্রিকেটের একঝাঁক তারকাকে কাছে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা আগামী দিনের তারকারা। পড়ন্ত বিকেলে গুরুদয়াল কলেজ মাঠে ক্রিকেট ক্লাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন কর্মশালার জন্য নিবন্ধনকৃত প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী।নতুন ক্রিকেটার তৈরির প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু হলো কিশোরগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমি নামে আরো একটি নতুন ক্রিকেট ক্লাবের। শুক্রবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজ মাঠে কিশোরগঞ্জ ক্রিকেট ক্লাবের উদ্বোধন করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। এছাড়াও এদিন প্রথম পর্বের দুই মাসের প্রশিক্ষণ কর্মশালারও উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আশরাফুল ছাড়াও জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকাদের মিলন মেলা বসে।
কর্মশালার মাধ্যমে মেধাবী ক্রিকেটার বের করাই কিশোরগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমির প্রধান কাজ বলে জানান সংগঠনটির প্রধান কোচ ও কৃতি ক্রিকেটার মেহরাব হোসেন অপি। আর যুব সমাজকে ক্রিকেটে মনোযোগী করা এবং জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেটার তৈরির লক্ষেই সংগঠনের যাত্রা বলে জানান কিশোরগঞ্জ ক্রিকেট ক্লাবের চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ তুহিন।
পরে মাঠে ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলায় অংশ নেন মোহাম্মদ আশরাফুল। কিশোরগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমির মাধ্যমে বিনামূল্যে ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে জানান ক্লাবের কর্মকর্তারা। মেহরাব হোসেন অপির সঙ্গে কাজ করবেন স্থানীয় ১০ জন সহকারি কোচ। প্রাথমিক পর্বে এক হাজার সাত শত ষোল জন ক্রিকেটারকে দুই মাসের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।