বছর দশেক আগের কথা। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব থাকেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায়। একদিন রাতে কলেজের অ্যাসাইনমেন্টের কাজ আরেকটু দৃষ্টিনন্দন করার জন্য ফটোশপে ডিজাইন করছিলেন কম্পিউটারে। হঠাৎ সফটওয়্যার ক্রাশ! যেন বাজ পড়ল রাজীবের মাথায়। দুপুর ১২টায় অ্যাসাইনমেন্ট জমার সময়। আশপাশের বন্ধুদের ফোন দিয়ে মিলল না উপায়। সবশেষে ফটোশপের সিডির খোঁজ মিলল মিরপুরের শুভর কাছে। সাতসকালে বাসে বাদুড়ঝোলা হয়ে আগে মিরপুর। তারপর সিডি নিয়ে যাত্রাবাড়ী, এরপর এক ঘণ্টার ডিজাইন শেষে কলেজে পৌঁছতে পৌঁছতে দুপুর ১টা। ক্লাস ততক্ষণে শেষ!
এখন অবশ্য সফটওয়্যার নিয়ে অত ঝামেলা নেই! অনলাইনেই রয়েছে হাজার হাজার। শুধু ঠিকানাটা জানা থাকা চাই। অনেকে আবার গুগলে সার্চ করে সফটওয়্যার পাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সফটওয়্যার রয়েছে এমন অনেক সাইটেই ভাইরাস থাকে। ব্যবহারকারীরা সফটওয়্যারের নামে যেসব ফাইল ডাউনলোড করেন, সেগুলোর মাধ্যমে কম্পিউটারে বাসা বাঁধে ম্যালওয়্যার ও ট্রোজানজাতীয় ভাইরাস। ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ইউজারনেইম, পাসওয়ার্ড এবং অন্যান্য তথ্য পাচার হওয়ার পাশাপাশি হার্ডড্রাইভ থেকে বিভিন্ন ফাইল ও ফোল্ডার চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে! তাই যেনতেন সাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা নিরাপদ নয়। যেসব সাইটের নিজস্ব ভাইরাস চেকিং প্রযুক্তি রয়েছে সেসব থেকেই সফটওয়্যার ডাউনলোড করা উচিত।